১০ মিনিট দড়ি লাফালে কত ক্যালরি খরচ হয়

সুপ্রিয় পাঠকগন ১০ মিনিট দড়ি লাফালে কত ক্যালরি খরচ হয় এ বিষয়ে লিখতে বসলাম। আরো আলোচনা করা হবে ঘুমে কত ক্যালরি খরচ হয়। দড়ি লাফানোর উপকারিতা। মেয়েদের দ্রুত ওজন কমানোর উপায়। ৩০ দিনে ১০ কেজি ওজন কমানোর উপায়। পুরুষ ও মহিলাদের উচ্চতা অনুযায়ী ওজনের তালিকা।
বিষয়গুলো আমাদের শারীরিক স্বাস্থ্যের সঙ্গে সম্পর্কিত। এজন্য এগুলো বিষয়ে ভালোভাবে জানা দরকার। এগুলো বিষয়ে ব্যাপারে বিভিন্ন তথ্য ভিত্তিক জানার জন্য আমাদের সঙ্গে থাকুন।

ভূমিকা

বর্তমানে অফিস আদালত ও ব্যবসা-বাণিজ্যের কারণে আমরা অলস হয়ে পড়েছি। এই অলসতার কারণে অতিরিক্ত স্থুলতা সমস্যা হয়ে পড়েছে। এছাড়াও ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ আমাদের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে। এগুলো সমস্যা থেকে বাঁচার জন্য নিয়মিত হাঁটাহাঁটিকরা দরকার।


এছাড়া দড়ি লাফানোর মতো ব্যায়াম গুলো করতে হবে। আরো অনেক ব্যায়াম আছে যেগুলো ব্যায়ামের মাধ্যমে আমাদের শরীরের কর্মক্ষমতা বেড়ে যাবে। আজকে আমাদের কনটেন্ট এর বিষয় ১০ মিনিট দড়ি লাফালে কত ক্যালরি খরচ হয়।

ঘুমে কত ক্যালরি খরচ হয়

ঘুমে কি পরিমান ক্যালোরি খরচ হয় তা নির্ভর করে শরীরের ওজন ঘুমের পরিমাণ ও ঘুমানো অবস্থায় উক্ত রুমের তাপমাত্রা এর উপরে। শরীরের ওজন যত বেশি হবে তত ক্যালরি বেশি খরচ হবেঅ আবার শরীরের ওজন অনেক কম হলে ক্যালোরি খরচ কমে যাবে। হ্যাপি হাউসফুল ডটকম এর পুষ্টি বিশেষজ্ঞ ক্যাথি পে বলেন।

ঘুমন্ত অবস্থায় উক্ত ব্যক্তির শরীরের প্রতি পাউন্ড ওজনের জন্য ০.৪২ ক্যালোরি খরচ হয়। অর্থাৎ উক্ত লোকের যত পাউন্ড ওজন হবে তত পাউন্ড কে ০.৪২ দ্বারা গুন করলে যেটা ফলাফল হবে সে পরিমাণ ক্যালরি খরচ হবে। তবে ব্যায়াম করার পরিবর্তে ঘুমের কথা ভাববেন না।

অতিরিক্ত ঘুমের চাইতে ব্যায়াম করলে ক্যালরি অনেক বেশি খরচ হয়। সাধারণত ৮ ঘন্টা ঘুমে যে পরিমাণ ক্যালরি খরচ হয় এক ঘন্টা জগিং এর মাধ্যমে সে পরিমাণ ক্যালরি খরচ হয়। ঘুমের মাধ্যমেও একটু বেশি ক্যালরি খরচ করা যায়। ক্লিনিক্যাল স্লিপ এডুকেটর এবং সাটভা ডটকমের ঘুম বিশেষজ্ঞ টেরি ক্রেল বলেন।

শীতল পোশাক পরে ঘুমালে বিপাক ক্রিয়া বাড়তে পারে যার কারণে একটু বেশি ক্যালরি খরচ হয়। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেলথ এর একটি গবেষণামতে ঘুমন্ত অবস্থায় সিতল কাপড় পড়ে ঘুমালে ক্যালোরি খরচ করা কোষ কে উদ্দীপ্ত করতে পারে এবং বিপাক বাড়াতে সহায়তা করতে পারে।

১০ মিনিট দড়ি লাফালে কত ক্যালরি খরচ হয়

১০ মিনিট দড়ি লাফালে কত ক্যালরি খরচ হয় তার জেনে রাখা প্রয়োজন। দড়ি লাফানোর মাধ্যমে প্রচুর ক্যালরি খরচ হয়। সাধারণত 10 মিনিট দড়ি লাফালে স্বাভাবিক গতিতে এক কিলোমিটার হাটার সমান ক্যালরি খরচ হয়। যাদের ওজন বেশি দড়ি লাফানোর ফলে তাদের ক্যালরি আরও বেশি খরচ হয়।

স্বাস্থ্য ও শারীরিক শিক্ষা বিষয়ক মার্কিন সংগঠন আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশন ফর হেলথ ফিজিক্যাল এডুকেশন এন্ড রিক্রিয়েশন এর গবেষণা সামরিকীতে ২০১৩ সালে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ছয় সপ্তাহ প্রতিদিন ১০ মিনিট দড়ি লাফ করেন এমন কলেজ শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যগত যে উন্নতি হয়।

একই উন্নতি করতে হলে শিক্ষার্থীদের ছয় সপ্তাহে প্রতিদিন ৩০ মিনিট করে জগিং করতে হবে। একই গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে দড়ি লাফে অনেক ক্যালরি খরচ হয় এবং শরীরের শক্তি বাড়ে হাড় ও পেশি প্রচুর মজবুত হয়।

এছাড়াও দড়ির লাফের মাধ্যমে শরীরের আঘাত পাওয়া এবং হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়া উভয়ই ঝুঁকি কমায়। এইজন্য ১০ মিনিট দড়ি লাফালে ১০০ থেকে ১৫০ কিলো ক্যালরি খরচ হয়।

দড়ি লাফানোর উপকারিতা

দড়ি লাফানোর অনেক উপকারিতা আছে। সাধারণত ১০ মিনিট দড়ি লাফ দিলে ৩০ মিনিট জগিং এর সমান ক্যালরি খরচ হয়। আজকের বিষয় ১০ মিনিট দড়ি লাফালে কত ক্যালরি খরচ হয়। দড়ি লাফানোর উপকারিতা গুলো আলোচনা করা হলো।

সবচেয়ে বেশি ক্যালোরি খরচ হয়ঃ সাধারণত সুস্থ থাকার জন্য আমরা ব্যায়াম এর মাধ্যমে ক্যালোরি খরচ করি। দড়ি লাফের মাধ্যমে অনুরূপভাবে প্রচুর ক্যালরি খরচ হয়। হাটাহাটির মাধ্যমে শরীর যত তাড়াতাড়ি গরম হয়।

আরও পড়ুনঃ  ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যাবহারে কি ফর্সা হওয়া যায়

তার চাইতে অনেক তাড়াতাড়ি দড়ি লাফানোর মাধ্যমে শরীর গরম হয়। সেই জন্য দড়ির লাফানোর মাধ্যমে সবচাইতে বেশি ক্যালরি খরচ হয়।

শরীর ভারসাম্যপূর্ণ হয়ঃ দড়ি লাফের মাধ্যমে পেশি ও হাড় এবং জয়েন্ট গুলো শক্তিশালী হয়। ২০১৭ সালে মার্কিন এক গবেষণায় বলা হয়েছে ভারসাম্যহীনতার সমস্যায় প্রায় ভোগে এমন বিশেষ শিশুদের দড়ি লাফানোর মাধ্যমে উন্নতি হয়েছে।

এছাড়াও ২০১৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রের একটি গবেষণা অনুযায়ী ৯ থেকে ১২ বছর বয়সী শিশুদের ৮ সপ্তাহ নিয়মিত দড়ি লাফের কারণে অন্যান্য শিশুদের চাইতে ফুটবল খেলায় বেশি নৈপুণ্য দেখাতে পেরেছে।

আঘাতের ঝুঁকি কমায়ঃ বিশেষজ্ঞদের মতে দড়ি লাফের মাধ্যমে শরীরে বিভিন্ন প্রকার আঘাতের পরিমাণ কমিয়ে আনে। মার্কিন প্রশিক্ষক ব্রিলিয়ান মাইকেল বলেন দড়ি লাফানোর কারণে শরীরের উপর ও নিচ দুই অংশের নড়াচড়ার সমন্বয় বাড়ে। এর ফলে কর্মদক্ষতা আরো বাড়ে। শরীরে আঘাত পাওয়ার ঝুঁকি অনেক কমে যায়।

হৃদরোগের ঝুঁকি কমেঃ দড়ি লাফানোর মাধ্যমে শরীরের রক্ত সঞ্চালন অনেক বৃদ্ধি হয়। এছাড়াও রক্তের লোহিত রক্তকণিকাগুলো বৃদ্ধি হয়ে রক্তশূন্যতা দূর করে। নিয়মিত দড়ি লাফানোর মাধ্যমে রক্তনালীতে থাকার চর্বি গুলো বার্ন হয়ে রক্তনালিকা পরিষ্কার করে। 

যার কারণে হৃদ রোগের ঝুঁকি কমে। এছাড়াও দড়ি লাফের কারণে পেটের চর্বি বার্ন হয় এবং শরীরের স্থুলতা কমে যায়।

হাড় ও পেশি স্বাস্থ্যবান রাখেঃ প্রতিদিন দড়ি লাফানোর ফলে হাড়, পেশী ও হাড়ের জয়েন্ট গুলো সঞ্চালনের মাধ্যমে অনেক শক্তিশালী হয়। এছাড়াও উন্নত পেশী তৈরি হয়। নিয়মিত দড়ি লাফানোর ফলে হাড় ও পেসি অনেক মজবুত হয়।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়েঃ নিয়মিত দড়ি লাফানোর ফলে শরীরের স্থুলতা কমে গিয়ে শরীর ফুরফুরা হয়। এছাড়াও শরীরের কর্মদক্ষতার বৃদ্ধি হয়। দড়ি লাফানোর মাধ্যমে শরীরের সকল জয়েন্ট সঞ্চালন হয়। যার কারণে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি হয়।

মেয়েদের দ্রুত ওজন কমানোর উপায়

মেয়েদের অতিরিক্ত ওজন কমানো প্রয়োজন। বেশি ওজন হলে ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এছাড়াও মেয়েদের ওজন বেশি হলে বন্ধাত্ব হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। উচ্চ রক্তচাপ হৃদরোগের ঝুঁকি অত্যাধিক ওজনের কারণে হয়ে থাকে।

আজকের বিষয় ১০ মিনিট দড়ি লাফালে কত ক্যালরি খরচ হয়। মেয়েদের ওজন কমানোর উপায় আলোচনা করা হলো।

পর্যাপ্ত পানি পানঃ ওজন কমানোর জন্য পর্যাপ্ত পানি পান করা প্রয়োজন। পর্যাপ্ত পানি পান করার কারণে দেহ হাইড্রেড থাকে। দেহ থেকে টক্সিন ও খারাপ পদার্থ অপসারণ হয়। বেশি পানি পান করার কারণে হজম শক্তি বৃদ্ধি হয় ও দ্রুত ওজন কমে।

ব্ল্যাক কফি খাওয়াঃ সাধারণত চিনি ও দুধ দ্বারা তৈরিকৃত কফি মহিলারা খেয়ে থাকেন। যার কারণে দ্রুত ওজন বৃদ্ধি হয়। পরিবর্তন করে চিনি বিহীন ব্ল্যাক কফি খাওয়ার অভ্যাস করুন। ব্ল্যাক কফিতে ওজন কমানোর অনেক উপাদান রয়েছে। ব্ল্যাক কফি খাওয়ার জন্য হজম শক্তি বৃদ্ধি হয় ও দ্রুত ওজন কমে।

সিয়াম পালনঃ রোজা রাখার মাধ্যমে ওজন কমানো যায়। গবেষণায় দেখা গেছে যারা বিরতিহীনভাবে রোজা পালন করেছেন তাদের ওজন তাড়াতাড়ি কমে গেছে। রোজা অবস্থায় স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া প্রয়োজন এবং অতিরিক্ত খাবার বর্জন করা প্রয়োজন।

লেবু পানিঃ প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে কুসুম কুসুম গরম পানিতে লেবু মিশ্রিত করে খেয়ে নিন। সকালে কুসুম কুসুম গরম লেবু পানি খেলে শরীরের চর্বি ঝরে যায় এবং ওজন কমে।

আঁশযুক্ত খাবার খাওয়াঃ আস যুক্ত খাবার খাওয়ার মাধ্যমে শরীরে অতিরিক্ত ওজন কমে। আসযুক্ত খাবার শরীর থেকে পানি ও চর্বি শোষণ করে হজম প্রক্রিয়া বৃদ্ধি করে। যার কারণে আশযুক্ত খাবার খাওয়ার মাধ্যমে শরীরের ওজন কমে।

গ্রিন টিঃ মেয়েদের অতিরিক্ত ওজন কমাতে ব্ল্যাক কফির সাথে গ্রীন টি ও খাওয়া যেতে পারে। গ্রিন টিতে ক্যাফিনের মাত্রা কম কিন্তু ক্যাটেচিন নামক শক্তিশালী এন্টি অক্সিডেন্ট প্রচুর পরিমাণ থাকে। আর এই এন্টিঅক্সিডেন্ট গুলো ক্যাফেইনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে কাজ করে এবং দ্রুত শরীর থেকে চর্বি ঝরিয়ে ওজন কমায়

কার্বোহাইড্রেট খাবারঃ অতিরিক্ত ওজন কমাতে কার্বোহাইড্রেট খাবার পরিহার করতে হবে। সাধারণত ভাত রুটি এবং চিনি এই জাতীয় সকল খাবার পরিহার করা প্রয়োজন। কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার পরিহারের মাধ্যমে শরীরের ওজন কমে।

ফল ও শাকসবজিঃ গবেষণায় দেখা গেছে বেশি পরিমাণ ফলমূল ও শাকসবজি খেলে ওজন কমে। কারণ ফলমূল ও শাক-সবজিতে রয়েছে প্রচুর ফায়বার ভিটামিন ও খনিজ উপাদান। যা আমাদের হজম শক্তি বৃদ্ধি করে এবং চর্বি ঝরিয়ে ওজন কমায়।

ভালো ঘুমঃ প্রচুর পরিমাণ ঘুমানোর কারণে শরীরের ওজন কমে। একজন সুস্থ লোকের ৬ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুম হওয়া দরকার। ঘুমের কারণে শরীরের বিপাক ক্রিয়া বাড়ে ও চর্বি ঝড়ে ওজন কমে।

ডিম খাওয়াঃ সাধারণত কার্বোহাইড্রেট খাওয়া বন্ধ করলে সকালে ডিম খাওয়া প্রয়োজন। ডিম খাওয়ার মধ্যে পুষ্টি উপাদান দেহ গ্রহণ করতে পারে অপরদিকে ডিমে ভালো কোলেস্টেরল আছে যা ওজন কমায়।

ব্যায়ামঃ অতিরিক্ত ওজন কমানোর জন্য ডায়েটের পাশাপাশি অবশ্যই ব্যায়াম করতে হবে। প্রতিদিন সকালে হাটাহাটির সঙ্গে নিয়মিত ব্যায়াম করলে ওজন কমে। এছাড়াও সাঁতার কাটার মাধ্যমে প্রচুর ক্যালোরি খরচ হয় যার মাধ্যমে ওজন কমে। এভাবে খাবার ও ব্যায়াম এর মাধ্যমে মহিলাদের ওজন কমা সম্ভব।

৩০ দিনে ১০ কেজি ওজন কমানোর উপায়

মাসে ১০ কেজি ওজন কমানোর জন্য প্রচুর চেষ্টা করতে হবে। এছাড়াও অত্যাধিক ধৈয্য ধারণ করে নিচের ডায়েট গুলো ফলো করলে এক মাসে ১০ কেজি ওজন কমবে। ডায়েট গুলো হল।

লেবু পানিঃ সকালে ঘুম থেকে উঠে কুসুম কুসুম গরম পানিতে লেবু মিশ্রিত করে লেবু পানি খেয়ে নিন। এছাড়াও ৩০ মিনিট হাটাহাটি বা জগিং করে এসেও লেবু পানি খেতে পারেন।

সকালের নাস্তাঃ সকাল ৮ টায় নাস্তা হিসেবে একটি সবুজ আপেল অথবা কমলা অথবা ছোট সাইজ দুটি কলা খেয়ে নিবেন। এর সঙ্গে এক চামচ চিয়াসিড ২০ মিানট ভিজিয়ে রেখে খেয়ে নিবেন। এভাবে সপ্তাহের চারদিন খাবেন। 

সপ্তাহের বাকি দুইদিন একটা করে পাতলা রুটি সাথে চিনি ছাড়া এক গ্লাস দুধ অথবা ডিম এবং সঙ্গে শসা বা গাজর খেয়ে নিবেন।

সকালের হালকা খাবারঃ সকালের নাস্তার পরে সকাল ১০ টা ৩০ মিনিটে আলু বাদে বিভিন্ন রকম সবজি মিশ্রিত করে বড় কাপের এক কাপ পরিমাণ সবজি খেয়ে নিবেন। সপ্তাহের দুই দিন সুপ বাটি এক বাটি করে ডাউল খেয়ে নিবেন। ডাউলের সঙ্গে হালকা মুড়ি মিশিয়ে খেতে পারেন।

দুপুরের খাবারঃ দুপুর ২ টার সময় মাঝারি সাইজের বাটি এক বাটি সবজি সাথে ডাল মিশিয়ে খেয়ে নিবেন। মিক্সড সবজিতে ভিটামিন ও মিনারেল পাবেন এবং পর্যাপ্ত ফায়বার পেয়ে যাবেন। 


যদি খুব খুধা লাগে তাহলে সপ্তাহের দুই দিন ছোট কাপ এক কাপ ভাত খেতে পারেন। সপ্তাহে এক থেকে দুই দিন মুরগির মাংস খেতে পারেন। এছাড়াও সপ্তাহে দুদিন মাছ খেতে হবে।

বিকালের খাবারঃ বিকালে আধামুট ভেজানো ছোলা অথবা তিন থেকে চারটি খেজুর খেয়ে নিবেন। সকাল-বিকাল চিনি ছাড়া চা অথবা গ্রিন টি খেতে পারেন।

রাতের খাবারঃ সন্ধ্যা সাতটায় এক গ্লাস লেবু পানি খাবেন। খুব বেশি খুধা লাগলে দুই মুঠ মুড়ি খেয়ে নিতে পারেন। রাত দশটার মধ্যে ঘুমিয়ে পড়বেন।

পানিঃ সারাদিন পর্যাপ্ত পানি খাবেন। দিনে ৪/৫ লিটার পানি খেতে পারেন।

বাদামঃ সারাদিনে চার পাঁচটা কাঠবাদাম ও চার-পাচটা কাজুবাদাম খেতে হবে। এর সাথে ৩০ ৩৫টি চিনা বাদাম খেতে পারেন। বাদাম আপনার খুধা কমাবে এবং শরীরের প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান প্রদান করবে।

এভাবে নিয়ম মেনে ৩০ দিন ডায়েট পালন করলে ১০ কেজি ওজন কমে যাবে।

পুরুষ ও মহিলাদের উচ্চতা অনুযায়ী ওজনের তালিকা


ক্রমিকনং

উচ্চতাপুরুষদের

    ওজন

 উচ্চতামেয়েদের

        ওজন

    ১

৪ ফুট৬ ইঞ্চি

২৮-৩৫কেজি

৪ ফুট৬ ইঞ্চি

৩২-৪২কেজি

    ২

  ৪ ফুট ৭ ইঞ্চি

৩০-৩৯কেজি

৪ ফুট ৭ইঞ্চি

৩৬-৪৬কেজি

    ৩

  ৪ ফুট ৮ ইঞ্চি

৩৩-৪০কেজি

৪ ফুট৮ইঞ্চি

৩৮-৪৮কেজি

    ৪

  ৪ ফুট ৯ইঞ্চি

৩৫-৪৪কেজি

৪ ফুট ৯ইঞ্চি

৩৯–৫০কেজি

    ৫

  ৪ফুট ১০ইঞ্চি

৩৮-৪৬কেজি

৪ ফুট১০ইঞ্চি

৪১–৫২কেজি

    ৬

  ৪ ফুট ১১ইঞ্চি

৪০-৫০কেজি

৪ ফুট১১ইঞ্চি

৪২-৫৩ কেজি

    ৭

  ৫ ফুট

৪৩-৫৩কেজি

৫ ফুটইঞ্চি

৪৩-৫৫কেজি

    ৮

  ৫ ফুট  ১ইঞ্চি

৪৫-৫৫কেজি

৫ ফুট১ইঞ্চি

৪৫-৫৭কেজি

    ৯

  ৫ ফুট ২ইঞ্চি

৪৮-৫৯কেজি

৫ ফুট২ইঞ্চি

৪৬-৫৯কেজি

    ১০

  ৫ ফুট ৩ইঞ্চি

৫০-৬১কেজি

৫ ফুট৩ইঞ্চি

৪৮-৬১কেজি

    ১১

  ৫ ফুট ৪ইঞ্চি

৫৩-৬৫কেজি

৫ ফুট৪ইঞ্চি

৪৯-৬৩কেজি

    ১২

  ৫ ফুট ৫ইঞ্চি

৫৫-৬৮কেজি

৫ ফুট৫ইঞ্চি

৫১-৬৫কেজি

    ১৩

  ৫ ফুট ৬ইঞ্চি

৫৮-৭০কেজি

৫ ফুট৬ইঞ্চি

৫৩-৬৭কেজি

    ১৪

  ৫ ফুট  ৭ইঞ্চি

৬০-৭৪কেজি

৫ ফুট৭ইঞ্চি

৫৪-৬৯কেজি

    ১৫

  ৫ ফুট  ৮ইঞ্চি

৬৩-৭৬কেজি

৫ ফুট৮ইঞ্চি

৫৬-৭১কেজি

    ১৬

    ৫ ফুট ৯ইঞ্চি

৬৫-৮০কেজি

৫ ফুট৯ইঞ্চি

৫৭-৭১কেজি

    ১৭

  ৫ ফুট১০ইঞ্চি

৬৭-৮৩কেজি

৫ ফুট১০ইঞ্চি

৫৯-৭৫কেজি

    ১৮

  ৫ ফুট ১১ইঞ্চি

৭০-৮৫কেজি

৫ ফুট১১ইঞ্চি

৬১-৭৭কেজি

    ১৯

  ৬ ফুট

৭২-৮৯কেজি

৬ ফুট

৬৪-৮০কেজি

লেখকের মন্তব্য

সুপ্রিয় পাঠকগন ১০ মিনিট দড়ি লাফালে কত ক্যালরি খরচ হয় এ বিষয়ে আজকের আর্টিকেলে লেখা হয়েছে। আরো লেখা হয়েছে ঘুমিয়ে কত ক্যালরি খরচ হয়। দড়ি লাফানোর উপকারিতা। মেয়েদের দ্রুত ওজন কমানোর উপায়। ৩০ দিনে ১০ কেজি ওজন কমানোর উপায়। পুরুষ ও মহিলাদের উচ্চতা অনুযায়ী ওজনের তালিকা।

এগুলো বিষয় নিয়ে গুগল সহ বিভিন্ন জায়গা থেকে তথ্য সংগ্রহ করে আজকের আর্টিকেল লেখা হয়েছে। এগুলো বিষয় জানতে আজকের এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন। আশা করি ভালো লাগবে ও উপকৃত হবেন। ভালো লাগলে বন্ধুদের মাঝে লাইক কমেন্ট ও শেয়ার করবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url