রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের অর্থনৈতিক গুরুত্ব

প্রিয় পাঠক আসুন জেনে নিই রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের অর্থনৈতিক গুরুত্ব। বাংলাদেশের বিদ্যুতের প্রচুর চাহিদা। সে তুলনাই বিদ্যুৎ উৎপন্ন অনেক কম। যার কারণে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালু করা হয়েছে। অত্যন্ত বড় প্রজেক্ট।
এ প্রজেক্ট থেকে বিদ্যুৎ উৎপন্ন হলে বিদ্যুতের চাহিদা পুরোপুরি পূরণ হবে। এছাড়া আরো জানবো বিদ্যুৎ কেন্দ্রের খরসহযাবতীয় তথ্যাদি। পারমাণবিক কেন্দ্র সম্পর্কে জানতে আমাদের সঙ্গেই থাকুন।

ভূমিকা

রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র পাবনা জেলায় অবস্থিত। এ পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র বাংলাদেশে ২.৪ গিগাওয়াট বিদ্যুৎ প্রকল্প। এ প্রকল্পটি ঢাকা থেকে ১৪০ কিলোমিটার পশ্চিমে পদ্মা নদীর তীরে পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার রূপপুরে নির্মিত হচ্ছে। এই পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র বাংলাদেশে প্রথম। এ বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালু হলে দেশের বিদ্যুৎ চাহিদার ১৫ ভাগ বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে।

আর ও পড়ুনঃ আমলকির উপকারী পুষ্টি ও ওষধি গুনাগুণ

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের অর্থনৈতিক গুরুত্ব অনেক। এ বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালু হলে একদিকে বিদ্যুৎ উৎপন্ন হবে অন্যদিকে দেশের অনেক বেকারদের কর্মসংস্থান হবে। তাই আশা করি খুব তাড়াতাড়ি যেন বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালু হয়।

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ইতিহাস

প্রিয় পাঠক রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের অর্থনৈতিক গুরুত্ব অনেক। এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের

ইতিহাস জেনে নিই।

১৯৬১সালঃ পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের প্রথম উদ্যোগ নেওয়া হয়।

১৯৬২ সাল থেকে ১৯৬৮ সালঃ যাচাই-বাছাই করে পাবনা জেলার ঈশ্বরদী থানার পদ্মা

নদীর তীরবর্তী রূপপুরকে দেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র হিসেবে নির্বাচন করা হয়।

প্রকল্পের জন্যে২৬০ একর এবং আবাসিক এলাকার জন্য ৩২ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়।

১৯৬৯ ও ৭০সালঃ ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্গ বাস্তবায়ন তৎকালীন পাকিস্তানের

সরকার বাতিল করে।।

১৯৭৭ থেকে ১৯৮৬সালঃ একনেক কতৃক পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র ১২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ প্রকল্প

নির্মাণের জন্য প্রকল্প গ্রহণ করা হয় কিন্তু পরে সে প্রকল্প বাতিল করা হয়।

১৯৮৭ থেকে ১৯৮৮সালঃ জার্মানি ও সুইজারল্যান্ডের দুটি কোম্পানির সঙ্গে ৩০০ থেকে ৫০০ মেগা

ওয়াট পারমানবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের সুপারিশ করা হয়।

১৯৯৭ থেকে ২০০০সালঃ বাংলাদেশ পারমাণবিক শক্তি কমিশনের তৎকালীন চেয়ারম্যান ডঃ এম এ

ওয়াজেদ মিয়া কর্তৃক ৬০০ ক্ষমতা সম্পন্ন রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্প বাস্তবায়নের

উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়।

২০০৯ সালেঃ পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের জন্য প্রাথমিক কার্যাবলী ও অবকাঠামোর

উন্নয়ন শুরু করা হয়।

২০১০সালঃ বাংলাদেশ সরকার ও রাশান ফেডারেশন সরকারের মধ্যে ফ্রেমওয়ার্ক চুক্তি স্বাক্ষর

হয় এবং পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের সিদ্ধান্ত প্রস্তাব করা হয়।

২০১১সালঃ বাংলাদেশ ও রাশান সরকারের মধ্যে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের

অন্তরাষ্ট্রীয় সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষর হয়।

২০১৩সালঃ অক্টোবরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র

নির্মাণের প্রথম পর্যায়ে কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।

২০১৬সালঃ রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের মূল পর্যায়ে কার্যাবলী সম্পাদনের জন্য বাংলাদেশ সরকার ও রাশান ফেডারেশন সরকারের মধ্যে টেস্ট ক্রেডিট চুক্তি স্বাক্ষর হয়।

২০১৭সালঃ ২০১৭ সালের ১৫ ই মার্চ বাংলাদেশ ও রুশ ফেডারেশনের মধ্যে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের স্পেন্ট রাশিয়াতে ফিরে নিতে পারস্পরিক চুক্তি স্বাক্ষর হয়। ২০১৭সালের এপ্রিল মাসে পারমাণবিক শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহার বাংলাদেশ ও ভারত সরকার এবংগ্লোবাল সেন্টার ফর নিউক্লিয়ার এনার্জি পার্টনারশিপ।

আর ও পড়ুনঃ রুই মাছের উপকারিতা ও অপকারিতার বিবরণ 

ভারতের পরমাণু শক্তি সংস্থা বাংলাদেশেরপরমাণু শক্তি কমিশন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় বাংলাদেশ পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনেরসহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষর হয়। ২০১৭ সালের সাড়ে নভেম্বর একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বাংলাদেশপরমাণু শক্তি নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নকশা ও নির্মাণ লাইসেন্স প্রদান করা হয়।

 ২০১৭ সালের ৩০ শে নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রূপপুরপরমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র 1 নম্বর ইউনিটের প্রথম কংক্রিট ঢালাইয়ের উদ্বোধন করেন।

২০২৩ সালেঃ  ৫ই অক্টোবর আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ রাশিয়ার কাছ থেকে পারমাণবিকজ্বালানির প্রথম চালান গ্রহণ করেন এ উপলক্ষে একটি ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় যাতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি উপস্থিত ছিলেন।

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের অর্থনৈতিক গুরুত্ব

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের অর্থনৈতিক গুরুত্ব অনেক। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র মাধ্যমে বিদ্যুৎ চাহিদা পূরণ করে দেশের উন্নয়নে অনেক অবদান রাখবে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায় যে ১২০০ মেগাওয়াটে দুইটি প্ল্যান্ট থেকে ২৪০০ ওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে। যাতে খরচ হবে বারো বিলিয়ন মার্কিন ডলার বা ১ লাখ ১৩ হাজার কোটি টাকা।

রাশিয়া সরকার ৯০ভাগএবং বাংলাদেশ সরকার ১০ভাগ ব্যয় করবে। সরকার উৎপাদনে গেলে রাশিয়া কে প্রতিবছর ৫৬৫ মিলিয়ন ডলার বা ৫৬ কোটি ডলার ঋণ শোধ করতে হবে। এ পরিমাণ দেখে বলা হচ্ছে যে এত টাকা পরিশোধ করা সম্ভব নয়। অপরদিকে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে এটা উন্নয়নের মাইলফলক।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে প্রতিবছর কিস্তি পরিশোধ করতে হবে ৫৬ কোটি ডলার। প্রকল্পের রিটার্ন উঠে আসলেকিস্তির টাকা পরিশোধ করতে কোন ভর্তুকি দিতে হবে না। কয়লা থেকে বিদ্যুৎ উৎপন্নের খরচের চাইতে পারমাণবিক চুল্লির মাধ্যমে উৎপাদন খরচ অর্ধেক।

আই পি পি ও এলএনজির ক্ষেত্রে প্রতি ইউনিট প্রতি বিদ্যুৎ খরচ এর চাইতে পারমাণবিক চুল্লির মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদন খরচ কম হবে।

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মোট খরচ

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের অর্থনৈতিক গুরুত্ব অনেক। রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মোট খরচ ১ লাখ ১৩হাজার৯৯২ কোটি টাকা। এই প্যান্টের দুটি ইউনিট রয়েছে যার প্রতিটি ইউনিটের ১২০০মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা রয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী এ খরচের টাকার মধ্যে ৯০ ভাগ রাশিয়া দিবে অর্থাৎ ৯১ হাজার ৪০ কোটি টাকা দিবে রাশিয়া।

বাকি টাকা দেবে বাংলাদেশ সরকার। প্রকল্প কর্মকর্তারা জানিয়েছেন প্রথম ইউনিটটি ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে এবং দ্বিতীয় ইউনিটি ২০১৪ সালের জুলাইয়ে বাণিজ্যিকভাবে কার্যক্রমের জন্য প্রস্তুত হবে।

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র সাধারণ জ্ঞান

রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র কোথায় অবস্থিত?

উত্তর- পাবনা জেলার ঈশ্বরদী উপজেলায় পদ্মা নদীর ধার রূপপুরে অবস্থিত।   

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র কত ওয়াটের?

উত্তর- ২৪০০ ওয়াটের।

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন ক্ষমতা কত?

উত্তর- ২.৪ গিগা ওয়ার্ড।

রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র কোন নদীর তীরে অবস্থিত?

উত্তর- পদ্মা নদীর তীরে অবস্থিত।

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বাজেট কত?

উত্তর- ১ লক্ষ্য১৩ হাজার ৯৯২ কোটি টাকা।

রুপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মেয়াদ কত?

উত্তর-৬০ বছর।

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জ্বালানি কি?

উত্তর- ইউরেনিয়াম।

রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রকল্পমেয়াদ কত?

উত্তর- ২০১৬ সালের জুলাই থেকে ২০২৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত।

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করেছে কোন কোম্পানি?

উত্তর- রাশিয়ান কোম্পানি।

বাংলাদেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র কোনটি?

উত্তর- রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র।

রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কোন চুল্লি ব্যবহার করা হয়?

উত্তর- রাশিয়ান vver-1200।

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র কোন মন্ত্রণালয়ের অধীনে?

উত্তর- বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অধীনে।

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জ্বালানি কি

রুপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জ্বালানি মূলত ইউরেনিয়াম-২৩৫ এর সমৃদ্ধ ধাতব পদার্থ। খনির আকরিক থেকে নানা প্রক্রিয়া করে তৈরি করা হয় ইউরিনামের এই জ্বালানি। পারমাণবিক জ্বালানি শক্তির মূল উপাদান হলো এই ক্ষুদ্র আকৃতির ইউরেনিয়াম পেলেট। এ রকম কয়েকশো পেলেট একটি নিশ্ছিদ্র ধাতব টিউবে ঢোকানো হয়।

আর ও পড়ুনঃ জিন জাতীর অস্তিত্ব ও রহস্যের ইতিহাস

এই ধাতব টিউবটি ফুয়েল রড হিসেবে পরিচিত। একসঙ্গে অনেকগুলো ফুয়েল রড যুক্ত করে তৈরি করা হয় ফুয়েল এসেম্বলি। একটি ফুয়েল এসেম্বলি ৩ থেকে ৪ মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়। আর এরকম ফুয়েল অ্যাসেম্বলি জ্বালানি হিসেবে রিঅ্যাক্টরে লোড করা হয়। বাংলাদেশে ১২০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার একটি চুল্লিতে এমন ১৬৩ ফুয়েল অ্যাসেম্বলি লোড করা হয়।

নিউক্লিয়ার ফুয়েল পুড়ানো হয় পারমাণবিক চুল্লিতে ফিসান বিক্রিয়ার মাধ্যমে যেখানে ইউরেনিয়ামের নিউক্লিয়াস বিভাজন ঘটে। এর ফলে প্রচুর তাপ উৎপন্ন হয়। এই তাপ শক্তিকে কাজে লাগিয়ে পানিকে বাষ্পে পরিণত করে টারবাইন ঘুরিয়ে বিদ্যুৎ শক্তি উৎপাদন করে। পারমাণবিক চুল্লিতে এটি এক ধরনের নিয়ন্ত্রিত চেইন রিয়্যাকশন।

ব্যবহিত পারমাণবিক জ্বালানি থেকে আবার ব্যবহারযোগ্য জ্বালানি পাওয়া যায় তাই এই জ্বালানিকে নবায়নযোগ্য জ্বালানি হিসেবে অভিহিত করা হয়। তবে অনাকাঙ্ক্ষিত কোন দুর্ঘটনা ঘটলে এর তেজস্ক্রিয়তা ছড়ানোর মাধ্যমে বিশাল এলাকার প্রাণ ও প্রকৃতি বিনষ্ট হয়ে যাবে।

লেখকের মন্তব্য

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র তৈরিতে দেশের অনেক অর্থনৈতিক ভূমিকা রাখবে। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের অর্থনৈতিক গুরুত্ব অপরিসীম। তবে বড় সমস্যা হলো এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে অত্যাধিক দুর্নীতি ও জালিয়াতি জড়িত। কষ্টের ব্যাপার হলো বালিশ গুলো নিচ থেকে উপরে তুলতে হাজার হাজার টাকা লাগে।

এজন্য উচিত সরকারকে যথাযথ এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দুর্নীতি দূর করে দেশের অর্থনীতিতে এ বিদ্যুৎ কেন্দ্র ভূমিকা রাখার সুযোগ করে দিতে।তাই আসুন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র সম্পর্কে জানত এই ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন। আশা করি ভালো লাগবে। ভালো লাগলে বন্ধুদের মাঝে লাইক কমেন্ট ও শেয়ার করবেন। 


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url