বাংলাদেশের দর্শনীয় স্থানের নামের তালিকা
প্রিয় পাঠক আজকের বিষয় বাংলাদেশের দর্শনীয় স্থানের নামের তালিকা। বাংলাদেশের অনেক পর্যটন জায়গা রয়েছে। হয়তো আমরা সে সকল জায়গা সম্পর্কে জানিনা। এছাড়া অনেক মনোমুগ্ধকর জায়গা আছে সেগুলো দেখলে মনটা ঠান্ডা হয়ে যায়। এগুলো জায়গা যাবো তো খোঁজ খবর জানতে আমাদের ওয়েবসাইট শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়বেন।
বছরে দুই একবার ভ্রমণ না করলে মনটা ভালো লাগে না। বিভিন্ন দর্শনীয় জায়গা দেখার মাধ্যমে অনেক অভিজ্ঞতা বাড়ে। তাই আসুন বাংলাদেশের পর্যটন কেন্দ্রগুলি সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য জেনে নিই।
ভূমিকা
বাংলাদেশে বহু পর্যটন কেন্দ্র রয়েছে যেগুলো অনেক সুন্দর এবং প্রাকৃতিক। এগুলো পর্যটন কেন্দ্রে বছরে বহু লোক দর্শনের জন্য ভিড় জমায়। এগুলো জায়গায় পরিবার অথবা বন্ধু-বান্ধব নিয়ে যাওয়া যায়। এর মধ্যে বাংলাদেশের কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে যেতে পারেন। এই জায়গাটি অনেক আকর্ষণীয় ও হাজার হাজার মানুষ ভিড় জমায়।
আর ও পড়ুনঃ তথ্য প্রযুক্তির অবাধ ব্যবহারই যুব সমাজের অবক্ষয়
বঙ্গোপসাগর ঘেঁষে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম দেশ বাংলাদেশ এর সমুদ্র বীচ। এখানে সাধারণত সমুদ্রের দৃশ্য অবলোকন করা যায় এবং সেই সঙ্গে সমুদ্রে গোসল করা যায়। প্রিয় পাঠক আজকের বিষয় বাংলাদেশের দর্শনীয় স্থানের নামের তালিকা।
বাংলাদেশের প্রধান পর্যটন কেন্দ্র কোনটি
প্রিয় পাঠক আজকের বিষয় বাংলাদেশের দর্শনীয় স্থানের নামের তালিকা। আপনারা হয়তো জানেন না বাংলাদেশের প্রধান প্রধান জায়গা কোথায় কোথায়। বাংলাদেশ একদিকে নদীমাতৃক দেশ অপরদিকে বঙ্গোপসাগর ঘিরে বাংলাদেশের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করেছে।
বাংলাদেশে এমন অনেক ভালো ভালো জায়গা আছে যেখানে আপনারা পরিবার নিয়ে অথবা বন্ধু বান্ধবীদেরকে নিয়ে ঘুরতে পারবেন। আসুন জেনে নেওয়া যাক কয়েকটি সুন্দর সুন্দর পর্যটক কেন্দ্র গুলি।
*কক্সবাজার।
*সেন্টমার্টিন।
*সাজেক ভ্যলী।
*নীলগিরি।
*রাঙ্গামাটি।
*পতেঙ্গা।
*কুয়াকাটা।
*সিলেট চা বাগান।
*শ্রীমঙ্গল।
*সুন্দরবন।
*পানামা নগর।
*বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক।
বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানা। আরো অনেক জায়গা রয়েছে। এ সকল পর্যটক কেন্দ্রে প্রতিবছর লক্ষ লক্ষ মানুষ আনন্দ উপভোগ করতে আসে। এর মধ্যে অন্যতম হলো কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত। যেখানে প্রতিবছর দেশ-বিদেশ থেকে লক্ষ লক্ষ মানুষ সমুদ্র সৈকত উপভোগ করার জন্য আসে।
এখানে অনেক উচ্চমূল্য ও কম দামের রিসোর্স আছে। এছাড়া পর্যটকদের জন্য সকল নিরাপত্তা ব্যবস্থা আছে। বাংলাদেশের প্রত্যান্ত এলাকা থেকে কক্সবাজার যাওয়ার মত যোগাযোগ ব্যবস্থা আছে। বিশেষ করে ঢাকা থেকে কক্সবাজার বিমান বাস ও ট্রেনের মাধ্যমে যাতায়াত করা যায়।
আপনারা এই পর্যটক কেন্দ্র ঘুরতে গেলে পরিবার অথবা বন্ধু-বান্ধবিদেরকে নিয়ে নিরাপত্তার সাথে ঘুরে আসতে পারবেন। এছাড়াও থাকা খাওয়ার ভালো ব্যবস্থা আছে। এখান থেকে আপনারা সেন্টমার্টিন ও যেতে পারবেন। বিশেষ করে ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুুয়ারী মাসে কক্সবাজারের ভ্রমণের জন্য উপযুক্ত সময়। আশা করি আপনারা আনন্দে এ পর্যটক কেন্দ্র গুলি পরিদর্শন করতে পারবেন।
পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর দর্শনীয় জায়গার নাম
প্রিয় পাঠক আমাদের দেশ নদীমাতৃক দেশ। এছাড়া এ দেশেই পাহাড়-পর্বত এবং সমুদ্রের তীরবর্তী এলাকা নিয়ে বাংলাদেশ গঠিত। অতএব বাংলাদেশে প্রচুর পর্যটন কেন্দ্র রয়েছে। বাংলাদেশের বাহিরে ও খুব ভালো ভালো পর্যটন কেন্দ্র রয়েছে।
আর ও পড়ুনঃ নবজাতকের পেট ফাঁপা দূর করার ঘরোয়া উপায়
যেগুলো পর্যটন কেন্দ্রে লক্ষ লক্ষ মানুষ ভ্রমণের জন্য ভিড় জমায়। আসলে জায়গা গুলো হল অনেক উন্নতমানের এবং খুব ভালো লাগার জায়গা। এগুলো জায়গায় ভ্রমণ করলে সারাটা জীবন সে জায়গার কথা মনে থাকবে। এই ভ্রমণ স্পটগুলো হলঃ
*থাইল্যান্ড।
*ফিলিপাইন।
*চীন।
*নিউজিল্যান্ড।
*সুইজারল্যান্ড।
*কানাডা।
*যুক্তরাষ্ট্র।
*কেনিয়া।
*অস্ট্রেলিয়া।
*দুবাই।
*লন্ডন।
*কাশ্মীর।
মালদ্বীপ ইত্যাদি সহ আরো অনেক জায়গা রয়েছে যেখানে ভ্রমণ পিপাসুরা মনের আনন্দে ভ্রমন করতে পারে। সময় ও পরিবেশ থাকলে আপনারাও এগুলো জায়গা থেকে ঘুরে আসতে পারেন। এগুলো জায়গায় ঘুরতে অনেক টুরিস্ট কোম্পানি আছে যাদের মাধ্যমে যেতে পারবেন।
বাংলাদেশের সবচেয়ে সুন্দর পার্ক কোনটি
ঢাকা শহরের কাছে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সেনাবাহিনী দ্বারা নির্মিত সবচেয়ে সুন্দর পার্ক জল সিড়ি সেন্টাল পার্ক। নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ সেনাবাহিনীর দ্বারা পরিচালিত জলসিটি পার্ক ও আবাসন প্রকল্প। এই আবাসন প্রকল্পের ২১ নম্বর সেক্টরে জলসিড়ির সেন্ট্রাল পার্ক অবস্থিত।
ফ্যামিলি নিয়ে ঘুরে আসা অথবা বাচ্চাদেরকে নিয়ে খেলাধুলার পর্যাপ্ত জায়গা সম্বলিত এই পার্ক।জলসিড়ির সেন্ট্রাল পার্ক এ জনসাধারণের প্রবেশ মূল্য ১০০ টাকা। আর সেনাবাহিনী সদস্যদের জন্য প্রবেশ মূল্য ২০ টাকা । এখানে খাওয়ার মত ভাল রেস্ট্ররেন্ট আছে। তবে খাওয়ার সময় দাম দর করে খাবেন। দামদর না করে খেলে ঠকে যাবেন।
যাবেন যেভাবে কুড়িল বিশ্বর রোড থেকে বিআরটিসি বাসে ৩০ টাকা ভাড়ায় জলসিড়ি আবাসন প্রকল্পের কাছেই নামিয়ে দিবে।এরপর সেখান থেকে অটো রিক্সায় জলসি সেন্ট্রাল পার্কে ৩০ টাকা ভাড়ায় যাবেন। ঘুরা ঘুরি করে আসার সময় একটু বেলা থাকতে আসবেন।
মাগরিব পর হলে গাড়ি পাওয়া একটু কষ্টকর হয়। আর যারা নিজস্ব গাড়ি অথবা মোটরসাইকেল নিয়ে যান তাদের আর কোন সমস্যা নেই। সময় থাকলে এই মন মুগ্ধকর পার্কে ঘুরে আসতে পারেন। প্রিয় গ্রাহক আজকের বিষয় বাংলাদেশের দর্শনীয় স্থানের নামের তালিকা।
বাংলাদেশের দর্শনীয় স্থানের নামের তালিকা
প্রিয় গ্রাহক আজকের বিষয় বাংলাদেশের দর্শনীয় স্থানের নামের তালিকা। বাংলাদেশের প্রচুর দর্শনীয় জায়গা রয়েছে। যেকোনো জায়গায় হাজার হাজার লোক ভ্রমণ করে। পর্যটক স্থান হওয়ার কারণে সেখানকার লোকজনের অতিরিক্ত কিছু আয় হয়েছে।
কারণ পর্যটকগন যেখানে যান খাওয়া-দাওয়ার এবং সেখানকার বিভিন্ন যন্ত্র চালিত যানবাহনের ভাড়া ইত্যাদি প্রদান করে থাকেন। যেগুলো কারণে স্থানীয় লোকজন ভ্রমণের সুবাদে অনেক বাড়তি আয় করতে পারেন। ভ্রমণের জায়গাগুলো হলঃ
*কক্সবাজার।
*সেন্টমার্টিন।
*ইনানী সৈকত।
*টেকনাফ।
*মহেশখালী দ্বীপ।
*কুতুবদিয়া দ্বীপ।
*ছেড়া দ্বীপ।
*রাঙ্গামাটি ঝুলন্ত ব্রিজ।
*সাজেক ভ্যালি।
*নীলগিরি।
*চিম্বূক পাহাড়।
*সীতাকুণ্ড।
*খান জাহান আলীর মাজার।
*মধুটিলা ইকোপার্ক।
*নুহাশ পল্লী।
*সুন্দরবন।
*মংলা পোর্ট।
*সিলেট শাহজালাল মাজার।
*সিলেট চা বাগান।
*জাফলং।
*রাতারগুল।
*বিছানাকান্দি।
*শ্রীমঙ্গল চা বাগান।
*মাধবকুণ্ড জলপ্রপাত।
*মাধবকুণ্ড লেক।
*বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানা।
*কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত।
*বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর।
*বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক।
*ষাট গম্বুজ মসজিদ।
*সোনারগাঁও।
*শালবন বৌদ্ধ বিহার।
*জাতীয় স্মৃতিসৌধ।
*বাংলাদেশ বিমান বাহিনী জাদুঘর।
*চাঁদপুর মোহনা।
*আহসান মঞ্জিল।
*মহাস্থানগড়।
*পানাম নগর।
*নাটোর রাজবাড়ি।
*মাইকেল মধুসূদন দত্তের বাড়ি।
*লালবাগ কেল্লা।
*পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার।
*মুজিবনগর স্মৃতিসৌধ।
*রবীন্দ্র কুঠিবাড়ি।
*স্বপ্নপুরী পিকনিক স্পট।
*ভিন্ন জগৎ রংপুর।
*তেতুলিয়া জিরো পয়েন্ট।
*হাতিয়ার দ্বীপ।
*মনপুরা দ্বীপ।
*পদ্মা সেতু।
প্রিয় পাঠক সময় থাকলে এগুলো স্পট থেকে বাছাই করে প্রতিবছর দুই একটি স্পটে ভ্রমণ করুন। তাহলে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যগুলো উপভোগ করতে পারবেন। দেশ সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে পারবেন। বিভিন্ন জায়গার সাংস্কৃতিক ব্যাপারে জানতে পারবেন।
বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় পার্ক কোনটি
বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় পার্ক হল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক। এই পার্ক গাজীপুর জেলা ঢাকা রাজশাহী বিশ্বরোডের পাশে অবস্থিত। এ পার্কের আয়তন ১৪৯৩. ৯৩ হেক্টর। ২০১১ সালের ২ ফেব্রুয়ারি এ পার্ক তৈরীর কার্যক্রম শুরু করা হয়। ২০১৩ সালে বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক জনসাধারণের উদ্দেশ্যে খুলে দেয়া হয়। এ পার্কে উন্মুক্ত ভাবে বাঘ সিংহ দেখা যায়।
আর ও পড়ুনঃ চিনা বাদাম খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
এ পার্কের প্রবেশ মূল্য ৫০ টাকা। আর আঠারো বছরের নিচে ছেলে মেয়েদের জন্য ২০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। শিক্ষা সফরে আসা ছাত্র-ছাত্রীদেরকে পার্কে প্রবেশ করতে দশ টাকা করে দিতে হয়। মঙ্গলবার ছাড়া সপ্তাহের ছয় দিন নয়টা থেকে পাঁচটা পর্যন্ত খোলা থাকে। আসুন হাতে সময় থাকলে বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক থেকে ঘুরে আসি।
লেখকের মন্তব্য
প্রিয় পাঠক আজকে আমাদের কনটেন্ট এর বিষয়ে বাংলাদেশের দর্শনীয় স্থানের নামের তালিকা। দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে জানতে হলে আমাদের এই ওয়েবসাইট ভিজিট করবেন। ওয়েবসাইটের এই কনটেন্ট টি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়বেন। ভ্রমণ ব্যাপারে অনেক কিছু তথ্য জানতে পারবেন। আশা করি এই পোস্টটি ভালো লাগবে। ভালো লাগলে বন্ধুদের মাঝে লাইক কমেন্ট ও শেয়ার করবেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url