বীর্যমনি ফল খাওয়ার উপকারিতা
সুপ্রিয় পাঠক গন আজকের বিষয় বীর্যমনি ফল খাওয়ার উপকারিতা। আরও থাকছে আলকুশি অশ্বগন্ধা বীর্যমুল ও শিমুল মূল একসঙ্গে খেলে কি উপকার পাওয়া যায়। বীর্যমনির উপকারিতার দিক আলোচনা করা হবে। বীর্যমনি মূল একটি উপকারী পুষ্টি গুণসম্পন্ন ভেষোজ উদ্ভিদ।
হাজার বছর ধরে এ উদ্ভিদ মানুষের বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায় ব্যবহার হয়ে আসতেছে। তাই আসুন আমরা এ ভেষজের বিভিন্ন চিকিৎসা আলোচনা করি।
ভূমিকা
আমাদের আশেপাশে এমন কিছু উদ্ভিদ অবহেলায় পড়ে আছে যা আমাদের অনেক উপকার করে। এর মধ্যে বীর্য মূল উদ্ভিদ একটি। যাহা আমাদের বাড়ির আশেপাশে অবহেলায় পড়ে থাকে। অথচ এ উদ্ভিদের গুনাগুন জানলে চমকে উঠতে হয়।
আর ও পড়ুনঃ||জেনে নিন দুম্বার মাংসের উপকারিতা
বীর্যমনি উদ্ভিদে ভিটামিন এ ভিটামিন বি ভিটামিন সি পটাশিয়াম সহ আরো অনেক উপাদান রয়েছে। এছাড়াও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বিদ্যমান। আজকে আমাদের বিষয়ে বীর্যমনি ফল খাওয়ার উপকারিতা। আসুন উপকার গুলো আস্তে আস্তে জেনে নিই।
বীর্যমনি ফল খাওয়ার উপকারিতা
বীর্যমনি ফল মানবদেহের জন্য অনেক উপকারী। নিয়ম মেনে বীর্যমনি ফল খেলে শরীরের অনেক সমস্যা দূর হয়। এই ফল বিভিন্ন রোগ সারাতে ব্যবহৃত হয়। বীর্যমনি ফলে পর্যাপ্ত এন্টি অক্সিডেন্ট আছে যা শরীরের ফ্রি রেডিকেল এর বিরুদ্ধে কাজ করে এবং অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমায়।
*বীর্য মনি গুড়া দ্রুত বীর্য পাত বন্ধে সহায়তা করে।
*পুরুষের বীর্য পাতলা হলে বীর্য মনি ফল সেবনের মাধ্যমে বীর্য গাড় হয়।
*পুরুষের শারীরিক দুর্বলতা দূর করার জন্য বীর্য মনি ব্যবহার হয়।
*মানসিক যৌন দুর্বলতা কে দূর করে।
*পুরুষের বীর্যে শুক্রানুর পরিমাণ বৃদ্ধি করে এবং যাদের বাচ্চা হয় না বাচ্চা হওয়ার পরিবেশ তৈরি করে।
*বীর্য মনি পুরুষের বীর্য গাড় করে এবং বীর্যে শুক্রাণুর পরিমাণ বৃদ্ধি করে তাই এই গাছকে বীর্যমনি বলা হয়।
*বীর্য মনি নিয়মিত খেলে গ্যাস্ট্রিক শারীরিক দুর্বলতা যৌন দুর্বলতা সহ বিভিন্ন রোগ ভালো করে।
*রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
*ত্বক সুরক্ষায় যাদুকরী ভূমিকা রাখে।
*উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সহায়তা করে।
*হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।
*ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উত্তম খাদ্য যা রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণ করে।
*আজকের বিষয় বীর্যমনি ফল খাওয়ার উপকারিতা। উপকারিতার কথা বিবেচনা করে নিয়মিত এ ফল খাওয়া এবং সংরক্ষণ করা দরকার।
আলকুশি,অশ্বগন্ধা,বীর্যমূল,শিমুলমূল, একসাথে খাওয়া
সুপ্রিয় পাঠকগণ আজকের বিষয় বীর্যমনি ফল খাওয়ার উপকারিতা। আলকুশি,অশ্বগন্ধা, বীর্যমূল, শিমুল মূল,একসঙ্গে খেলে শরীরের বহুবিধ উপকার পাওয়া যায়। উপকারিতা গুলো নিম্নরূপ।
দেহের শক্তি বৃদ্ধিঃ আল কুশি অশ্বগন্ধা বীর্য মূল শিমুল মূল একসঙ্গে খেলে দেহের শক্তি বৃদ্ধি পায়। শিমুল মূল দেহের ক্লান্তি দূর করে এবং দেহের শক্তি বৃদ্ধি করে।
ইউমিনিটি শক্তি বৃদ্ধিঃ এই চারটি ওষুধি গুনসম্পন্ন উদ্ভিদ একসঙ্গে খেলে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। শিমুল মূল শরীরের বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তি দেয়।
যৌন দুর্বলতা দূর করেঃ আলকুশি অশ্বগন্ধা বীর্যমনি শিমুল মূল একসঙ্গে খেলে শরীরের যৌন দুর্বলতা দূর করে। দেহের যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এছাড়াও বীর্যে শুক্রাণু পরিমাণ বৃদ্ধি করে। পাতলা বীর্য রোধ করে গাড়ো বীর্য তৈরি করে।
হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়ঃ আলকুশি অশ্বগন্ধা বীর্যমনি শিমুল মূল একসঙ্গে খেলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে। বিশেষ করে শিমুল মূলে পর্যাপ্ত পটাশিয়াম আছে। যা রক্তনালিকে প্রশস্ত করে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি করে। যার কারনে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে যায়।
স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিঃ আলকুসি অশ্বগন্ধা বীর্যমনি শিমুল মূল একসঙ্গে খেলে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়। এগুলো একসঙ্গে খাবার ফলে দেহের শক্তি বৃদ্ধির পাশাপাশি মানসিক চাপ কমায়। যার কারণে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়।
রক্তশূন্যতা দূর করেঃ আলকুশি অশ্বগন্ধা বীর্যমনি শিমুল মূল একসঙ্গে খেলে রক্তশূন্যতা দূর করে। বিশেষ করে শিমুল মূলে পর্যাপ্ত আয়রন আছে। আয়রন থাকার জন্য শরীরের লোহিত রক্ত কণিকা বৃদ্ধি করে। এই জন্য রক্তস্বল্পতা দূর হয়।
অতএব এই ভেষজ গুলো নিয়মিত খেয়ে শরীরের বিভিন্ন রোগ সারানো প্রয়োজন।
বীর্যমনি পাউডার উপকারিতা
বীর্যমনি পাউডার খেলে শরীরের অনেক উপকার হয়। বীর্যমনি পাউডারের উপকারিতা গুলো বর্ণনা করা হলো।
আর ও পড়ুনঃচোখের এলার্জি দূর করার ঘরোয়া উপায়
*বীর্যমুনি গুড়া দ্রুত বীর্যপাত রোধ করে।
*বীর্য পাতলা হলে বীর্যমনি গুড়া খেলে বীর্য ঘন ও গাঢ় হয়।
*বীর্যমনি গুড়া খাওয়ার ফলে পুরুষের যৌন শক্তি বৃদ্ধি হয়।
গুড়া খাওয়ার ফলে শরীরের শক্তি বৃদ্ধি হয় দুর্বলতা কেটে যায়।
*বীর্যমনি গুড়া খাওয়ার হলে পুরুষের বীর্যের শুক্রাণুর পরিমাণ বৃদ্ধি পায় এবং উর্বর হয়।
*পুরুষের মানসিক ও শারীরিক শক্তি বৃদ্ধি হয়।
*বীর্যমনি গুড়া খাওয়া হলে পুরুষ ও নারী উভয়ের যৌন শক্তি বৃদ্ধি হয়।
*বীর্যমনিগুড়া খাওয়ার ফলে শরীরের হজম শক্তি বৃদ্ধি হয় গ্যাস্ট্রিক থাকেনা ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়।
*বীর্যমূল গুড়া খাওয়ার ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
*বীর্যমনি গুড়া খাওয়ার ফলে রক্ত চাপের ভারসাম্য রক্ষা হয়।
*বীর্যমনি গুড়া খাওয়ার ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে।
*বীর্যমনি গুড়া খাওয়ার ফলে ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তের সর্করা মাত্রা নিয়ন্ত্রণ থাকে।
আজকের বিষয় বীর্যমনি ফল খাওয়ার উপকারিতা। এছাড়া বীর্যমনি গুড়া খাওয়ার উপকারিতা গুলোর কথা বিবেচনা করে আমরা বীর্যমনি এর গুড়া ব্যবহার করি।
বীর্য মূলের উপকারিতা
বীর্যমনি এমন একটি উদ্ভিদ যাহা হাজার বছর ধরে মানুষের বিভিন্ন রোগ নিরাময় করে আসছে। সাধারণত যৌন শক্তি বৃদ্ধিতে বীর্যমনি মূলের গুরুত্ব অপরিসীম। বীর্য মূলের উপকারিতা বর্ণনা করা হলো।
যৌন শক্তি বৃদ্ধিতেঃ বীর্যমনি মূল পুরুষ ও মহিলাদের যৌনশক্তি বৃদ্ধি করে। ইহা যৌন ইচ্ছা ও কর্ম ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। পুরুষদের ক্ষেত্রে শুক্রানু বৃদ্ধি ও উর্বর করে।
বীর্য গাঢ় করে। বীর্যপাত হওয়ার সম্ভাবনা রোধ করে। এছাড়া মহিলাদের যৌন আকাঙ্ক্ষা বৃদ্ধি করে। যৌন মিলনের কষ্ট ও ব্যথা দূর করে। তাই নিয়মিত বীর্যমনি মূল খাওয়া প্রয়োজন।
রক্ত পরিষ্কার করেঃ বীর্যমনি মূল রক্ত পরিষ্কার করে ও শরীর থেকে টক্সিন দূর করে। এটি শরীর সুস্থ ও রোগমুক্ত রাখতে সহায়তা করে। বীর্যমনি মূলে এন্টিঅক্সিডেন্ট ও এন্টিইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা রক্ত থেকে দূষিত পদার্থ দূর করে। এটি লিভার পরিষ্কার করে লিভারের কার্যক্রম বাড়ায়।
জ্বর ভালো করেঃ বীর্যমনি মূল খেলে জ্বর সেরে যায়। বীর্যমূল অ্যান্টি ডায়াবেটিক বৈশিষ্ট্য আছে যা শরীর থেকে তা বাহির করে দেয়। এটি খেলে শরীর ঠান্ডা রাখে।
হৃদরোগ প্রতিরোধঃ বীর্যমনি মূল গাছে পর্যাপ্ত পরিমাণ পটাশিয়াম আছে। যার কারণে শরীরের রক্তনালিকা গুলো প্রশস্ত হয়ে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি করে। উচ্চ রক্তচাপ রোধ হয়। এছাড়া হৃদরোগের ঝুঁকি কমে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করেঃ বীর্যমূলে পর্যাপ্ত ভিটামিন সি রয়েছে। যার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। সর্দি-কাশি ও ঠান্ডা লাগার সমস্যা জনিত জীবাণু বীর্য মূলের ভিটামিন সি ধ্বংস করে। এছাড়াও অন্যান্য রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
ত্বক গঠনে সহায়তা করেঃ বীর্যমনি মূলে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন সি আছে। যা ত্বকের গভীরে পৌছে ত্বকের মৃতকোষ অপসারণ করে নতুন কোষ তৈরি করে। যার কারনে ত্বক উজ্জ্বল ও মোলায়েম হয়।
অ্যাজমা প্রতিরোধেঃ বীর্যমূলে আন্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান আছে যা শ্বাস যন্ত্রের প্রদাহ কমায়। এছাড়াও শ্বাসনালী পরিষ্কার করে। যার কারনে এজমার মত সমস্যা দূর হয়।
ক্ষত নিরাময়ঃ বীর্যমনি মূলে পর্যাপ্ত পরিমাণ এনটি ইনফ্লেমেটরি ও এন্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান থাকায় ক্ষত তাড়াতাড়ি নিরাময় হয়। এছাড়াও বীর্য মূলে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন সি আছে যা ক্ষত সারাতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণঃ বীর্যমনি মূল রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণ করে। বীর্যমনি মূলে এন্টি ডায়াবেটিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যার রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে ইনসুলিন উৎপাদনের কার্যকর ভূমিকা পালন করে।
অতএব আসুন উপকারের কথা বিবেচনা করে বীর্য মূল খাই ও সংরক্ষণের ব্যবস্থা করি।
বীর্য মনি ফল খাওয়ার নিয়ম
বীর্যমনি ফল বিভিন্নভাবে খাওয়া যায়। প্রত্যেকটা জিনিস নিয়ম মেনে খেলে উপকার অনেক বেশি পাওয়া যায়। বীর্যমনি ফল উপকার মেনে খাওয়ার প্রয়োজন। বীর্যমনি ফল খাওয়ার নিয়ম গুলো বর্ণনা করা হলো।
তাজা ফল হিসেবে খাওয়াঃ বীর্যমুনি ফল সাধারণত টক মিষ্টি স্বাদের। তাই এই ফল ভালো করে ধুয়ে উপরের খোসা ছাড়িয়ে টুকরো টুকরো করে খাওয়া যায়। অথবা চিবিয়েও খেতে পারেন।
ফলের রস হিসেবে খাওয়াঃ বীর্যমুনি ফলের রস একটি পুষ্টি সমৃদ্ধ পানীয়। এ ফলগুলো ভালো করে ধুয়ে খোসা ছাড়িয়ে নিয়ে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করতে পারেন। ব্লেন্ড করার পরে ছেকে রস বাহির করতে হবে। রসের সঙ্গে চিনি অথবা মধু মিশিয়ে খেতে পারেন।
চা হিসেবে খাওয়াঃ ফল চা তৈরি করে খেলে অনেক উপকার হয়। এক্ষেত্রে ফল সংগ্রহ করে উপরে খোসা তুলে ফেলতে হবে। অতঃপর ফলগুলো টুকরো টুকরো করে কাটতে হবে।
টুকরো টুকরো ফলগুলো চায়ের ভিতর দিয়ে পানি ভালো করে ফুটাতে হবে। চায়ে স্বাদমতো মধু অথবা চিনি ব্যবহার করতে হবে। এই চা অনেক ওষুধি গুন সম্পূর্ণ চা।
ফল আচার হিসেবেঃ বীর্যমনি ফলের আচার অত্যাধিক সুস্বাদু। বীর্যমনি ফল সংগ্রহ করে উপরে খোসা ছাড়িয়ে ফেলতে হবে। অতঃপর ফলগুলো ছোট ছোট করে কাটতে হবে। ফল গুলো একটি পাত্রে নিয়ে চিনি লবণ ও মরিচের গুঁড়া দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে।
মিশ্রণগুলো একটি কাচের বোয়োমে রেখে উপরের সরিষার তেল দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। বোয়োম রোদে শুকিয়ে নিলে ভালো আচার তৈরি হয়ে যাবে।
আর ও পড়ুনঃভিটামিন বি কমপ্লেক্স এর অভাবে কি হয়
শুকনো ফল হিসেবে খাওয়াঃ বীর্যমনি ফল সারা বছর সংরক্ষণের জন্য শুকিয়ে নিতে পারেন। শুকিয়ে রেখে দিয়ে আস্তে আস্তে খেতে পারেন। এই ক্ষেত্রে ফল শুকানোর পর একটি পাত্রে রেখে দিতে হবে।
সেখান থেকে শুকনো ফল মধু অথবা চিনি মিশ্রিত করে খেতে পারেন। বীর্যমনি ফল খাওয়ার কোন নিয়ম নাই। তবে পরিমাণ মতো খেলেই হল। বেশি খেলে ক্ষতি হতে পারে।
লেখকের মন্তব্য
সুপ্রিয় পাঠকগণ আজকে আলোচনা করা হয়েছে বীর্যমনি ফল খাওয়ার উপকারিতা। বীর্যমনি মূল খাওয়ার উপকারিতা। বীর্যমনি পাউডার খাওয়ার উপকারিতা।
এছাড়াও বীর্য মূল সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য আলোকপাত করা হয়েছে। বীর্য মূল সম্পর্কে জানতে আমাদের এই কন্টেন্টটি ভাল করে পড়ুন। আশা করি উপকৃত হবেন। ভালো লাগলে বন্ধুদের মাঝে লাইক কমেন্ট ও শেয়ার করবেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url