ঠোঁট ফাটা কমানোর ঘরোয়া উপায়
প্রিয় পাঠক আমাদের এই পোস্টে জানবেন ঠোঁট ফাটা কমানোর ঘরোয়া উপায়। আসুন আমাদের এই পোস্ট ভালোভাবে জানি। আসলে আমরা জানি ঠান্ডার সময়ের মুখ ফাটে হাত বা পা ফাটে। কিন্তু গরমের সময় কি জন্য ঠোট ফাটবে। এছাড়া ঘরোয়া উপায়ে ঠোঁট ফাটা দূর করা যায়। আসুন ঠোঁট কেন ফাটে কিভাবে
ঘরোয়া পদ্ধতিতে ঠোঁট ফাটা দূর করা যায় তার বৈজ্ঞানিক যুক্তিসহ যাবতীয় তথ্য জেনে নিই। সাধারণত শীতকালে ঠোঁট ফাটা দূর করার জন্য বিভিন্ন ধরনের উপাদান ব্যবহার করে থাকি। এটা কি গরমের সময় ব্যবহার করতে হবে। আসুন এগুলো জানতে এ পোস্টগুলো ভালোভাবে পড়ি।
ভূমিকা
সাধারণত শীতকালে আবহাওয়া শুষ্ক থাকে। যার কারণে মুখের ঠোঁট ফাটে। অনেক সময় মুখের ঠোঁট গুলো কালো হয়ে যায়। প্রকৃতপক্ষে মুখের ঠোঁটগুলো গোলাপি রঙ্গের হলে অনেক ভালো লাগতো। আমরা এই পোস্ট ভালো করে পড়লে এগুলো সমাধান তাড়াতাড়ি পেয়ে যাব।
আরও পড়ুনঃ ওজন কমাতে টক দই খাওয়ার নিয়মএছাড়া হাতের অথবা শরীরের চামড়া গুলো অনেক মোটা। অপর পক্ষে ঠোঁটের চামড়া গুলো অনেক পাতলা।পাতলা হওয়ার কারণে ঠোঁটের চামড়াগুলো বিভিন্ন প্রতিকূল পরিবেশ সহ্য করতে পারে না। যার কারণে মুখের চামড়া গুলো ফেটে যায়।
গরমের সময় যদি আমরা অনেক বেশি পানি পান করি তাহলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। আমরা জানি ঠোঁট ফাটা কমানোর ঘরোয়া উপায়। এগুলো বিষয় ভালোভাবে জানতে আমাদের এই পোস্ট ক্লিক করুন।
ঠোঁট ফাটে কোন ভিটামিনের অভাবে
আবহাওয়া ওঠা নামা করার জন্য ঠোঁট ফাটে। এছাড়াও আরো অনেক কারণে ঠোঁট ফাটতে পারে। যেমন পুষ্টিগুণ ও ভিটামিনের অভাবেও ঠোঁট ফাটে। সাধারণত শরীরে ফোলেট এর অভাবে ঠোঁট ফাটে। এছাড়াও ভিটামিন ও পর্যাপ্ত পুষ্টির অভাবেও ঠোঁট ফাটে। ঠোঁট ফাটার জন্য ভিটামিন বি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
সাধারণত পুষ্টিবিদগণ ঠোঁট ফাটার জন্য ভিটামিন বি কেই দায়ী করেছেন। ভিটামিন বি৯ ভিটামিন বি২ ভিটামিন বি৬ ও ভিটামিন১২ এর অভাবে মুখের ঠোঁট ফাটে। এই জন্য ভিটামিন বি এর উৎসব সম্পর্কে জেনে সেগুলো খাবার তালিকায় খেতে হবে।
ভিটামিন বি১২ প্রাণিজ খাদ্যে বেশি পাওয়া যায়। এছাড়াও খনিজ পদার্থের মধ্যে আয়রন ও জিংকের অভাবে ঠোট ফাটে। এইজন্য ভিটামিন বি ও আয়রন ও জিংক জাতীয় খাবার নিয়মিত খেলে ঠোঁট ফাটা থেকে বাচা যাবে।
মেয়েদের ঠোঁটের কালো দাগ দূর করার উপায়
খুব সহজে কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করে ঠোঁটের কালো দাগ দূর করা যায়। এজন্য কোন দামি প্রসাধনী ব্যবহার করার প্রয়োজন নাই।
পেস্ট ব্যবহারের মাধ্যমেঃ প্রতিদিন সন্ধ্যায় ব্রাশ করার সময় কিছু পেস্ট ঠোটে লাগিয়ে দিন। কিছুক্ষণ পর ব্রাশ দিয়ে আলু তালু ভাবে ঠোট গুলো ব্রাশ করুন। ব্রাশ করা হয়ে গেলে ঠোট গুলো ধুয়ে ফেলুন। এভাবে ব্রাস ব্যবহার করলে ঠোটের মৃত চামড়াগুলো উঠে যাবে। আস্তে আস্তে ঠোটের কালো দাগ দূর হতে থাকবে।
বাদাম ও লেবুর রসের ব্যবহারঃ কয়েক ফোটা লেবুর রসের সঙ্গে বাদাম তেল মিশিয়ে ঠোঁটে মালিশ করতে হবে। ৭ মিনিট এই মেসেজ করার পরে ঠোঁটের আদ্রতা ফিরে আসবে। আর এভাবে আস্তে আস্তে কালো দাগ দূর হয়ে যাবে।
লেবুর রসের সঙ্গে মধু ব্যবহারঃ নারিকেলের তেলের সঙ্গে কয়েক ফোটা লেবুর রস মিশিয়ে প্রতিদিন ঘুমানোর সময় ঠোটে লাগিয়ে দিন। কয়েকদিন ব্যবহার করলে আস্তে আস্তে কালো দাগ দূর হতে থাকবে।
অ্যালোভেরা ও নারিকেলের তেল ব্যবহারঃ নারিকেল বেটে সাদা রস এর সঙ্গে অ্যালোভেরা জেল মিশ্রিত করুন। অতঃপর এই মিশ্রণ নিয়মিত ঠোঁটে লাগালে ঠোঁট পূর্বের অবস্থায় ফিরে আসবে। আস্তে আস্তে কালো দাগ দূর হবে।
পুদিনা পাতা ব্যবহারঃ পুদিনা পাতা পেস্ট করে ঠোটে লাগান। বরফ দিয়ে ঠোঁট মেসেজ করুন। এছাড়া বাদাম তেল ও অলিভ অয়েল মিশ্রিত করে ঠোটে লাগান। এভাবে নিয়মিত ব্যবহার করলে ঠোঁটের কালার পূর্বের অবস্থায় ফিরে আসবে।
দুধের স্বরের সাথে ডালিমের বিচির ব্যবহারঃ দুধের সঙ্গে ডালিমের বিচি পেস্ট করে দিতে হবে। অথবা ডালিমের বিচির গুঁড়া ঘিয়ের সঙ্গে পেস্ট করে নিতে পারেন। এই পেস্ট নিয়মিত ঠোঁটে লাগালে ঠোঁটের কালো দাগ দূর হয়।
চিনি ও কোল্ড ক্রিম ব্যবহারঃ চিনি ও কোল্ড ক্রিম একসাথে মিশ্রিত করে পেস্ট করে নেন। পেস্ট নিয়মিত ঠোঁটে ব্যবহার করলে ঠোঁটের কালো দাগগুলো দূর হয়ে যাবে।
অলিভ অয়েল ও বাদাম তেলের ব্যবহারঃ প্রতিদিন বাহির থেকে এসে ঠোঁটে যদি লিভ বাম অথবা অন্য কিছু লাগান তাহলে বাসায় এসে ধুয়ে ফেলবেন। এরপরে অলিভ অয়েল ও বাদাম তেল পেস্ট করে প্রতিদিন ঠোটে লাগান। ঠোঁটের কালো দাগ দূর হয়ে যাবে আস্তে আস্তে ঠোঁট গোলাপি কালার হবে।
গোলাপের পাপড়ি ও দুধ ব্যবহারঃ দুধের মধ্যে গোলাপের পাপড়ি ভিজিয়ে রাখুন। কিছুক্ষণ পরে পাপড়িগুলো তুলে পেস্ট করে নিন। পেস্টগুলো প্রতিদিন ঠোঁটে লাগান। ঠোঁটের কালো দাগ দূর হয়ে যাবে ঠোঁটগুলো গোলাপের পাপড়ির মত হবে।
গাজরের রস ব্যবহারঃ দিনে দুইবার তুলাতে গাজরের রস ঠোটে লাগান। এভাবে লাগালে আস্তে আস্তে কালো দাগ দূর হয়ে যায়। এছাড়া আরো অনেক উপায় রয়েছে। এছাড়াও ঠোঁট ফাটা কমানোর ঘরোয়া উপায় এর মাধ্যমে ঠোঁট ফাটা দূর করা যায়।
এই গরমে ঠোঁট ফাটার কারন কি
ঢাকা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় এর চিকিৎসক প্রফেসর মোস্তফা জামান বলেন এখন আগের মত আর আবহাওয়া পরিবর্তন হচ্ছে না। এছাড়া রোজার মধ্যে অনেক গরম পড়েছে। অপরদিকে রোজা থাকার জন্য পানি শূন্যতায় ভুগতে হচ্ছে। যার কারণে ঠোঁটগুলো শুষ্ক থাকে।
আরও পড়ুনঃ কাঠালি কলা খাওয়ার উপকারিতা এর বিবরনযার কারনে ঠোঁট ফাটে। এছাড়া শরীরের চামড়া তুলনায় ঠোঁটের চামড়া অনেক পাতলা। শীতকালে বাতাসে জলিও বাষ্প কমে গেলে ঠোটের চামড়াগুলো অনেক সুস্ক হয়ে যায়। তাপমাত্রা পরিবর্তনের ফলে ঠোঁটের চামড়া সেটা সহ্য করতে পারে না। তার কারণে গরমে ঠোট ফাটে। অনেকের উচ্চ রক্তচাপ কিডনি ও হার্টের চিকিৎসার কারণে বিভিন্ন ওষুধ খেতে হয়।
এই ওষুধের কারণে শরীর থেকে পানি বাহির হয়ে যায় যার কারণে ঠোঁট ফাটে। এছাড়াও ঠোঁটের অবস্থান নাকের নিচে। নাক দিয়ে শ্বাস প্রশ্বাস চালানোর সময় ঠোটগুলো সুষ্ক হয়ে যায়। যার কারনে ঠোঁটগুলো তাড়াতাড়ি ফেটে যায়। ঠোঁট ফাটা কমানোর ঘরোয়া উপায় ব্যবহারের মাধ্যমে ঠোঁট ফাটা দূর করা যায়।
ঠোঁট ফাটা কমানোর ঘরোয়া উপায়
ঠোঁট ফাটা একটি নিত্য দিনের সমস্যা। অথচ আমরা একটু সচেতন হলে এই সমস্যা থেকে বাঁচতে পারি। জেনে নিন ঠোঁট ফাটা কমানোর ঘরোয়া উপায়।
মধুর ব্যবহারঃ আমরা জানি মধু অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল পদার্থ। এছাড়া ভ্যাসলিন ত্বক নরম করতে সহায়তা করে। মধু ও ভেসলিন এক সঙ্গে মিশিয়ে ঠোঁটে ব্যবহার করলে ঠোঁট ফাটা বন্ধ হয়। ঠোট অনেক নরম ও মোলায়েম হয়।
অ্যালোভেরা জেলঃ অ্যালোভেরা ব্যবহার করলে ঠোঁট নরম থাকে। এইজন্য অ্যালোভেরা জেল ব্যবহারের মাধ্যমে ঠোঁট ফাটা বন্ধ হয়।
অলিভ ওয়েল ব্যবহারঃ ঠোঁটে অলিভ অয়েল এর ব্যবহার করা খুব ভালো। ঠোঁটে প্রতিদিন দুইবার অলিভ অয়েল ব্যবহার করলে ঠোঁট নরম থাকে ও ঠোঁট ফাটে না।
নারিকেলের তেল ব্যবহারঃ নারিকেলের তেলে প্রচুর ফ্যাট আছে। প্রতিদিন দুইবার ঠোঁটে নারিকেলের তেল ব্যবহার করলে ঠোঁট নরম থাকে ও ঠোঁট ফাটে না।
ঘি ব্যবহারঃ ঘি খুব সহজে ঠোঁট নরম করে। ঘিতে ভিটামিন ই ও ভিটামিন কে বিদ্যমান। এই জন্য ঘি ঠোঁটে চার ঘণ্টা পরপর ব্যবহার করলে ঠোঁট মোলায়েম হবে ও ঠোঁট ফাটবে না।
শসা ব্যবহারঃ একটি শসা কেটে নিয়ে ঠোঁটে ঘষা শুরু করুন। শসা ঠোঁটে ব্যবহার করা হয়ে গেলে ১৫ মিনিট রেখে দিন। ১৫ মিনিট পরে ঠোঁট ধুয়ে ফেলুন। ঠোঁট নরম হবে এবং ঠোঁট ফাটবে না।
গ্রিন টি ব্যবহারঃ গ্রিন টিতে পর্যাপ্ত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে। এক কাপ গরম পানি করে গ্রিন টির ব্যাগ পানিতে ডুবান। অতঃপর ওই গ্রিনটির ব্যাগটি ঠোঁটে ভালো করে ঘোষণ। ২০ মিনিট পর ঠোট ধুয়ে ফেলুন। এভাবে কয়েকদিন করলে ঠোঁট নরম হবে এবং ঠোঁট ফাটবে না।
দুধ ব্যবহারঃ দুধ একটি উন্নত ময়েশ্চার। প্রতিদিন ঠোঁটে দুধ লাগিয়ে দিন। বিশ মিনিট রেখে ঠোঁট ধুয়ে ফেলুন। এভাবে কয়েকদিন করলে ঠোঁট নরম হবে এবং ফাটবে না। এছাড়া টাটকা গোলাপের পাপড়ি দুধে ভিজিয়ে রাখুন।
আরও পড়ুনঃ মহিষী নারী হযরত খাদিজা (রাঃ)এর সঙ্গে রাসুল (সাঃ)এর বন্ধনদূধ থেকে তুলে পাপড়ি গুলো পেস্ট করুন। এই পেস্ট দিনে তিনবার করে লাগান। লাগানোর বিশ মিনিট পরে ঠোঁট ধুয়ে ফেলুন। এভাবে ব্যবহার করলে ঠোঁট কাটবে না এবং ঠোঁট গোলাপি কালার হবে।
গ্লিসারিন ব্যবহারঃ প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর সময় ঠোটে গ্লিসারিন দিয়ে মেসেজ করুন। এভাবে মেসেজ করলে আর ঠোঁট ফাটবে না।
ঠোঁট শুকিয়ে যাওয়া কোন রোগের লক্ষন
ঠোঁট শুকিয়ে যাওয়ার ডায়াবেটিস রোগের লক্ষণ। সাধারণত শীতকালে ঠোঁট ফেটে যায় এবং শুষ্ক থাকে। ডায়াবেটিসের কারণে সকালের দিকে খুব ঠোট শুকিয়ে যায়। আপনার ঠোট বারবার শুকিয়ে গেলে ডায়াবেটিস পরীক্ষা করা দরকার।
ঠোঁট শুকিয়ে যাওয়ার কারণ কি
ঠোঁট শুকিয়ে গেলে অনেক সমস্যা হয়। কিছু অসতর্কতার কারণে ঠোট শুকিয়ে যায়।
নিয়মিত ঠোট চাটলেঃ ত্বক সুস্থ হওয়ার জন্য অনেকে বারবার জিহ্বা দিয়ে ঠোঁট ভিজিয়ে রাখে। এভাবে বার বার ভিজিয়ে রাখার ফলে জিহ্বা আর লালার সঙ্গে এনজাইম থাকে যা ঠোঁটকে শুষ্ক করে। যার কারনে ঠোঁট চাটা অভ্যাসটা বন্ধ করতে হবে
ভুল টুথপেস্ট ব্যবহারের কারনেঃ অনেক সময় দাঁত ব্রাশ করার সময় করা ঠোঁটে পেস্ট লেগে যায়। অনেক পেস্ট আছে যার ঠোঁটকে সুস্ক করে।
ভুল লিপবাম ব্যবহারঃ লিপবামে লিপ লাম্পারের বৈশিষ্ট্য থাকা যাবে না। যদি লিপ লাম্পারের বৈশিষ্ট্য থাকে তাহলে ঠোঁট শুষ্ক হবে।
মুখে শ্বাসকার্য চালানোর অভ্যাস থাকলেঃ অনেকের মুখে শ্বাসকার্য চালানোর অভ্যাস থাকে। মুখে শ্বাসকার্য চালালে ঠোট শুষ্ক হয়।
লিপস্টিক ব্যবহারঃ লিপস্টিক ব্যবহারের ফলে ঠোঁট সুস্থ হয়। যাহার কারণে আপনি যদি লিপস্টিক ব্যবহার করেন তাহলে পূর্বে ঠোঁটে ময়েশ্চার লাগিয়ে নিবেন। তারপর লিপস্টিক ব্যবহার করবেন।
হট শাওয়ার ব্যবহারঃ হট শাওয়ারে গোসল করলে শরীর সুস্থ হয়। যাহার কারণে ঠোঁট শুষ্ক হয়। এরপরেও আসুন ঠোঁটফাটা কমানোর ঘরোয়া উপায় জেনে তার প্রয়োগ করি
লেখকের মন্তব্য
আজকের কনটেন্ট ঠোঁট ফাটা কমানোর ঘরোয়া উপায়। বিশেষ করে শীতকাল অত্যধিক ঠোট ফাটে। ঠোঁট ফেটে গেলে অনেক সময় ঠোঁটের রক্ত বাহির হয়। খেতে লাগলে ঠোঁটে যন্ত্রণা হয়। তাই আসুন আমরা একটু ঠোঁটের যত্ন করলে ঠোঁট ফাটা থেকে রক্ষা পেতে পারি।
ঠোঁট ফাটা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য আমার এই কনটেন্ট গুলো ভালোভাবে পড়বেন। কন্টেন থেকে কোন কিছু জানার প্রয়োজন হলে কমেন্ট করবেন। আশা করি আজকের এই কনটেন্ট ভালো লাগবে। ভালো লাগলে লাইক কমেন্ট ও শেয়ার করবেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url