২০২৪ ইদুল ফিতরের শুভেচ্ছা গ্রহন করুন

প্রিয় পাঠক হৃদয় নিংড়ানো অন্তরের অন্তস্থল থেকে আপনাদেরকে ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা। আজকের কনটেন্টে আমাদের বিষয়  ২০২৪ ইদুল ফিতরের শুভেচ্ছা গ্রহন করুন। আশা করি পুরাতন সকল কষ্ট গ্লানি অন্তর থেকে মুছিয়ে দিয়ে ঈদের আনন্দ উপভোগ করবেন। আমাদের জন্য সবচেয়ে আনন্দের দিন ঈদ।
ঈদকে সামনে রেখে ব্যস্ততার শেষ থাকে না। পরিবার পরিজনের কেনাকাটা এছাড়া আসো অধীনস্থ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য কেনাকাটা নিয়ে অত্যাধিক ব্যস্ত থাকতে হয়। আর এই ব্যস্ততার মধ্য দিয়ে ঈদের অনেক আনন্দের দেখা পাওয়া যায়।

ভূমিকা

 ২০২৪ ইদুল ফিতরের শুভেচ্ছা গ্রহন করুন। প্রিয় পাঠক ঈদুল ফিতরের আনন্দ ধ্বনি গরিব আপামর জনতার মধ্যে ছড়িয়ে পড়ুক। একমাস সিয়াম সাধনার পরে ঈদ আমাদের জন্য অত্যন্ত আনন্দের দিন। নতুন কাপড় পড়ে ঈদগাহে ঈদের নামাজ ও নামাজ আনতে পরস্পরের শুভেচ্ছা বিনিময় কি যেন এক মিলন মেলা। এছাড়া আমরা যারা অর্থবিত্তশালী আছি।

 অরও পড়ুনঃগর্ভাবস্থায়  আঙ্গুর ফল খাওয়ার উপকারিতা

রোজার মধ্যে গরিবদেরকে সহযোগিতা করে সুখ এবং দুঃখ ভাগ করেনি। ধনীদের যাকাত গরিবরা পেয়ে সমানভাবে ঈদের আনন্দে মেতে ওঠে। আশা করি ২০২৪ সালের ঈদুল ফিতর আপনাদের জন্য সুখের বার্তা নিয়ে আসুক। পরবর্তী এক বছর আমরা যেন পরস্পর সুখ দুখ ভাগ করে নিয়ে চলতে পারি।

২০২৪ সালের ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা গ্রহণ করুন

সুপ্রিয় পাঠকগণ ২০২৪ ইদুল ফিতরের শুভেচ্ছা গ্রহন করুন। আজকের এই কোন টিমে শুভেচ্ছা গ্রহণের স্ট্যাটাস ও ঈদ কার্ড এর বিনিময় শুভেচ্ছা প্রদান করা হবে। আপনারাও এই স্ট্যাটাস ওই ঈদ কার্ড থেকে ঈদের আনন্দ গ্রহণ করতে পারেন। ঈদ মোবারক

ঈদুল ফিতরের স্ট্যাটাস সমুহঃ


ঈদের শুভেচ্ছা জানাই সকলকে,

আল্লাহ্‌ আপনাদের সকল ইচ্ছা পূরণ করুন।

ঈদ মোবারক!


ঈদের আলোয় ঝলমলে হোক আপনার জীবন,

ঈদের আনন্দে ভরে উঠুক আপনার ঘর।

ঈদ মোবারক!


দুরের মানুষ আসুক কাছে

কাছের জন থাকুক পাশে

মন ছুটে যাক মনের টানে

নয়া চান্দের আগমনে

ঈদ কাটুল খুশী মনে

*** ঈদ মোবারাক***
















ইদুল ফিতরের নামাজ

ঈদের নামাজ সুন্নাতে মুয়াক্কাদা। ইমাম সাহেব নামাজে দাঁড়িয়ে প্রথম রাকাতে তাকবীরে তাহরিমা বাদে ৭ তাকবীর ও দ্বিতীয় রাকাতে ৫ তাকবীর মোট ১২ তাকবীরে দুই রাকাত ঈদের নামাজ পড়াবেন। এক্ষেত্রে প্রথম রাকাতে ৭ তাকবীর দেওয়ার পরে সুরা ফাতেহা ও অন্য একটি সূরা অথবা সূরার একটি অংশ পাঠ করে রুকু সেজদা সম্পন্ন করবেন।

দ্বিতীয় রাকাতে পুনরায় দাঁড়িয়ে ৫ তাকবীর সম্পূর্ণ করার পরে ইমাম সাহেব সুরা ফাতেহা পড়বেন। অতঃপর যেকোনো একটি সূরা অথবা সুরার অংশ পাঠ করে রুকু সেজদা সম্পন্ন করবেন। অতঃপর শেষ বৈঠকে  বসে দোয়ার পরে সালাম ফিরবেন। সালাম ফিরার শেষে মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে খুতবা প্রদান করবেন।

অপরদিকে হানাফী মাযহাবের নিয়ম অনুযায়ী ইমাম সাহেব তাকবিরে তাহরিমার পরে তিনটি তাকবীর দিবেন। আর বাকি প্রথম রাকাত নামাজের রুকু সেজদা করবেন। পুনরায় দ্বিতীয় রাকাতে ইমাম সাহেব সুরা ফাতিহাপাঠ করবেন।

ও অন্য একটি সূরা অথবা সুরার অংশ বিশেষ পাঠ করার পরে তিনটি তাকবীর দিয়ে রুকু সেজদা সম্পন্ন করবেন। শেষ বৈঠকের পরে সালাম ফিরবেন। সালাম শেষে ইমাম সাহেব মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে দিক-নির্দেশনা বক্তব্য প্রদান করবেন। ২০২৪ ইদুল ফিতরের শুভেচ্ছা গ্রহন করুন।

ইদুল ফিতরের সুন্নাত

ঈদ মানেই মুসলমানদের জন্য আনন্দের বন্যা। ঈদের নামাজ শেষে সকল মুসল্লির সালাম এবং কোলাকুলিতে ব্যস্ত হয়ে যায়। অনেক মনোরম লাগে। মনে হয় লোকে লোকে কোন বিভেদ নাই সবার মনের মধ্যে চরম মিল। দুঃখের বিষয় ঈদ চলে গেলে এ ভ্রাতৃত্ববোধ থাকে না। ঈদের দিনে ১৩ টি সুন্নত রয়েছে।

সকালে ঘুম থেকে উঠে তাহাজ্জুদ এবং ফজরের নামাজ শেষ করে ঈদগাহ থেকে ঘুরে আসতে হবে। মিসওয়াক করা। গোসল করা। শরীয়ত সম্মত সাজসজ্জা করা। সমর্থ্য অনুযায়ী উত্তম পোশাক পরা। পুরুষদের জন্য সুগন্ধি ব্যবহার করা কিন্তু মহিলাদের সুগন্ধি ব্যবহার করা যাবে না। ঈদের নামাজ পড়তে যাওয়ার সময় মিষ্টি অথবা খেজুর খেয়ে যাওয়া।

সকাল সকাল ঈদগাহে যাওয়া। ঈদের নামাজ পড়তে যাওয়ার আগেই ঈদুল ফিতর আদায় করা। ঈদের নামাজ ঈদগাহে যে রাস্তায় যাবেন অপর রাস্তায় ঈদগাহ থেকে বাসায় ফিরে আসা। পায়ে হেঁটে যাওয়া। ঈদগাঁ মাঠে যাওয়ার সময় আস্তে আস্তে তাকবির পড়া। ২০২৪ ইদুল ফিতরের শুভেচ্ছা গ্রহন করুন।

ইদুল ফিতরের ছুটি

ঈদুল ফিতরের ঈদ আনন্দ পালনের জন্য জনপ্রসাসন মন্ত্রণালয় থেকে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য ছুটির ব্যবস্থা করেছেন। সাধারণত ৩০ রোজা ধরেই ছুটির ব্যবস্থা করা হয়েছে। ৩০ টি রোজা সম্পূর্ণ হলে ১১ তারিখ বৃহস্পতিবার ঈদ উদযাপন হবে। সেই কারণে ১০ই এপ্রিল বুধবার থেকে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।

এই হিসাব অনুযায়ী ১০ এপ্রিল ২০২৪ ও ১১ এপ্রিল ও ১২ এপ্রিল ঈদের ছুটি। ১৩ এপ্রি ল শনিবার সরকারি ছুটির দিন এবং ১৪ই এপ্রিল নববর্ষের ছুটি। মিলিয়ে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ৫ দিন ছুটি নির্ধারণ করা হয়েছে।

অপরদিকে বেসরকারি কলেজের শিক্ষক কর্মচারীদের জন্য ২৫ শে মার্চ থেকে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত ঘোষণা করা হয়। বেসরকারি স্কুল শিক্ষক কর্মচারীদের জন্য ২৫ শে মার্চ থেকে ২0 এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। মাদ্রাসার ২০ শে এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি থাকবে।

ইদুল ফিতরের ফজিলত

রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘যে ব্যক্তি দুই ঈদের রাতে জাগ্রত থেকে ইবাদত-বন্দেগী করবে, যেদিন সব আত্মা-অন্তর (কেয়ামতের দিন) মারা যাবে, সেদিন তার অন্তর মরবে না। কেয়ামত দিবসের কঠিন বিপজ্জনক অবস্থা ও মহা আতঙ্কের মধ্যে পড়বে তখন এই ঈদের রাতে ইবাদতকারী বরং হাসিখুশির মধ্যে কাটাবে।’ (তাবারানি)

ঈদের রাতের ফজিলত বিষয়ে হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত-রাসুল (সা.) বলেন, রমজান মাসের শেষ রজনিতে আল্লাহ তায়ালা তার বান্দার জন্য ক্ষমা ও দানের ফয়সালা করেন। সাহাবায়ে কেরাম জিজ্ঞেস করেন, ওই রাতটিই কি শবে কদর? রাসুল (সা.) বলেন, না। কিন্তু নিয়ম হচ্ছে কর্মচারী যখন কাজ বুঝিয়ে দেয় তখন তার পাওনাও পরিশোধ করে দেওয়া হয় (মুসনাদে আহমদ)।

হজরত আবু সাঈদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত-তিনি বলেন, রাসুল (সা.) ঈদুল ফিতর বা ঈদুল আজহার দিনে ঈদগাহে যেতেন, তারপর প্রথম কাজ হিসেবে তিনি নামাজ পড়াতেন। তারপর নামাজ শেষে মুসল্লিদের মুখোমুখি দাঁড়াতেন এবং লোকজন নিজ নিজ স্থানে সারিবদ্ধভাবে বসা থাকতেন।

তখন নবীজি (সা.) তাদের ওয়াজ-উপদেশ দিতেন, নসিহত-অছিয়ত করতেন এবং প্রয়োজনীয় আদেশ জারি করতেন। কোথাও যদি সৈন্য প্রেরণের ইচ্ছা করতেন, তাদের বাছাই করতেন অথবা যদি কাউকে বিশেষ কোনো নির্দেশ দেওয়ার হতো তা দিতেন।

এভাবেই ঈদের সালাত ও খুতবা শেষে বাড়ি ফিরে যেতেন (মেশকাত : ১৩৪২)। মহান আল্লাহ উক্ত সব আমল-ইবাদতে আমাদের অংশগ্রহণের এবং সংশ্লিষ্ট বিধানগুলো মেনে চলার তওফিক দিন।

ইদুল ফিতরের ইতিহাস

নবী করিস (সাঃ) একদিন সাহাবী গন দের কে আনন্দ ও খেলাধুলা করতে দেখলেন।
রাসুল (সা.) জিজ্ঞাসা করলেন, এই দুই দিন কীসের? মদিনাবাসী সাহাবী গন বললেন, জাহেলি যুগ থেকে আমরাএই দুইদিন আনন্দ ও খেলাধুলা করে আসতেছি। রাসুল (সা.) বললেন, আল্লাহ এই দুই দিনের পরিবর্তে নুতুন ২ দিন দিয়েছেন তা হলো ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা। (মুসনাদে আহমদ ১৩০৫৮এভাবে মুসলমানদের ইদের আনন্দ শুরু হলো।

এটা দ্বিতীয় হিজরি অর্থাৎ ৬২৪ খ্রিষ্টাব্দের ঘটনা। রাসুল (সা.) ঘোষণা করলেন, ‘সব জাতিরই ঈদ বা উৎসবের দিন থাকে, এটা আমাদের ঈদ।’ (সহিহ বুখারি ৩৯৩১, সহিহ মুসলিম ২০৯৮)।হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেন, ঈদের দিন আল্লাহ তাআলা ফেরেশতাদের বলেন, তারা আমার ফরজ আদায় করে প্রার্থনার জন্য বের হয়েছে।

আমার মর্যাদা বড়ত্ব ও সম্মানের কসম! আমি অবশ্যই তাদের প্রার্থনা কবুল করবো। তারপর আল্লাহ বান্দাদের উদ্দেশ্যে বলেন, ফিরে যাও, আমি তোমাদের ক্ষমা করে দিয়েছি। তোমাদের পাপগুলোকে নেকি দ্বারা পরিবর্তন করে দিয়েছি। এরপর সবাই ক্ষমাপ্রাপ্ত হয়ে বাড়ি ফিরে যায়। (বায়হাকির সূত্রে মেশকাত, ২০২৪ ইদুল ফিতরের শুভেচ্ছা গ্রহন করুন।

লেখক এর মন্তব্য

এক বছর পরে আনন্দের সওগাত নিয়ে আসে ঈদুল ফিতর।২০২৪ ইদুল ফিতরের শুভেচ্ছা গ্রহন করুন। ক ঈদের নামাজ পড়ে আমরা পরস্পর হিংসা বিদ্বেষ ভুলে যে সালাম ও কোলাকুলির মাধ্যমে ভাতৃত্বতা বজায় রাখি। ঠিক ইদের মতই সারাটা বছর যদি মিলেমিশে থাকতাম তাহলে দেশে কোন অরাজকতা বা বিশৃঙ্খলা হতো না।

দুঃখের বিষয় ঈদ চলে গেলে আমরা সেগুলো ভুলে যাই। আসুন এবারের ঈদ হোক ভাতৃত্ববোধের ঈদ। এবার ঈদ হোক ইসলামী শাসন ব্যবস্থা বাস্তবায়নের চেষ্টা করি। সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে শেষ করছি।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url