কোন ভিটামিনের অভাবে শরীর কাপে

সুপ্রিয় গ্রাহকগণ আজকের বিষয় কোন ভিটামিনের অভাবে শরীর কাঁপে। বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়াও কোন ভিটামিনের অভাবে শরীর শুকিয়ে যায়। কোন ভিটামিন এ কারণে শরীর দুর্বল হয়। শরীর দুর্বল হলে কি খাবারে মাধ্যমে আমর আছে সমস্যা দূর করতে পারি। আসুন এ সম্পর্কে জানতে এই পোস্টগুলো শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়বেন।

ভূমিকা

প্রিয় গ্রাহকগণ আমাদের শরীরের কার্যক্রম চলার জন্য ভিটামিন মিনারেল শর্করা প্রোটিন সহ অন্যান্য উপাদান শরীর গঠনে ভূমিকা রাখে। এগুলোর মধ্যে কোন কিছুর অভাব হলে ওই অভাবজনিত সমস্যার শরীরে ফুটে ওঠে। যেমন ভিটামিন বি টুয়েল ভ এর অভাবে শরীর খসখসে হয়।

 শরীর অত্যন্ত দুর্বল হয়। এই ক্ষেত্রে আমরা যদি ভিটামিন বি টুয়েলভ এর অভাব পূরণ করতে পারি তাহলে সে সমস্যা দূর হয়। প্রায় আসুন কোন ভিটামিনের অভাবে কি সমস্যা হচ্ছে আমরা দেখিনি। আজকে আমাদের পোস্ট কোন ভিটামিনের অভাবে শরীর কাঁপে।

কোন ভিটামিনের অভাবে শরীর কাপে 

আম্মুর আমাদের দৈনন্দিন জীবনে কর্মক্ষম রাখার জন্য বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান সম্বলিত খাবার খাওয়া প্রয়োজন। এছাড়া পুষ্টিহীনতার কারণে বিভিন্ন রকম সমস্যা হতে পার। কিছু কিছু সমস্যা আছে যেমন শরীর কাঁপা এই লক্ষণ এক ধরনের ভিটামিনের অভাবে।

 তাই প্রিয় পাঠক আমরা জেনে নি ই কোন ভিটামিনের অভাবে শরীর কাঁপে। শরীরে র জন্য ভিটামিন এর মধ্যে ভিটামিন বি উল্লেখযোগ্য। ভিটামিন বি এর অভাব হলে শরীর কাপে। সাধারণত ভিটামিন বি এর অভাবে শরীরের লোহিত রক্তকণিকা তৈরি করতে পারে না। 

যার কারণে রক্তস্বল্পতাই ভোগে। এছাড়াও ভিটামিন বি এর অভাবে হাত পায়ের আঙ্গুল শক্তি পায় না। এইজন্য ভিটামিন বি এর অভাবে শরীর কাঁপে। পাশাপাশি শরীরের রক্তচাপ বেড়ে যায়। এছাড়াও একটু পরপর শরীর হাপিয়ে যায়। বুক ধরফর করে। 

তাছাড়া ভিটামিন বিয়ের অভাবে শরীরের ভারসাম্য থাকে না। এই সমস্যা দূর করার জন্য আমরা ভিটামিন বি জাতীয় খাবার খেতে পারি। ভিটামিন বি এর অভাব পূরণ করতে দই মিষ্টি মাছ-মাংস বেশি খাওয়া যেতে পারে। এগুলো বেশি খেলে ভিটামিন বি এর অভাব পূরণ হয়।

কোন ভিটামিনের অভাবে শরীর শুকিয়ে যায় 

প্রিয় পাঠক আসুন জেনে নি ন কোন ভিটামিনের অভাবে শরীর শুকিয়ে যায়। মাঝে মাঝে দেখা যায় অনেকে শুকিয়ে যাচ্ছে। ওজন ও কমে যাচ্ছে। নষ্ট হয়ে গিয়েছে। আসুন দেখি কি সমস্যার কারণে শরীর শুকিয়ে যাচ্ছে।

অত্যাধিক পরিশ্রমঃ পরিশ্রম আমাদের অনেক প্রয়োজন। কিন্তু প্রয়োজনের তুলনায় অত্যাধিক পরিশ্রম শরীরের নানা রকম ক্ষতি করে। শরীরের যে পরিমাণ ক্যালরি রয়েছে তার চাইতে বেশি ক্যালরি ফুরিয়ে পরিশ্রম করলে শরীরে পুষ্টি ঘাটতি পড়ে যায়। যার কারনে শরীর শুকিয়ে যায় ও ওজন কমে যায়।

নেশাগ্রস্ত হওয়াঃ বর্তমানে নেশা মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। ছোট বড় অনেকেই বিপথগামী হচ্ছে। এছাড়াও অনেকে রাত্রিতে না ঘুমিয়ে মোবাইল কম্পিউটার নিয়ে ব্যস্ত থাকে। এগুলো কাজের জন্য শরীরে প্রচন্ড চাপ তৈরি হচ্ছে। যার কারনে শরীর শুকিয়ে যাচ্ছে।

ডায়াবেটিসের কারণেঃ ডায়াবেটিসের কারণে কিছু মানুষের স্বাস্থ্য বেড়ে যায় আবার কিছু মানুষ শুকিয়ে যায়। তাই ডায়াবেটিস হলে অনেকের চেহারা শুকিয়ে যায়। শরীরের রক্তের সুগার মেপে ডায়াবেটিস আছে কিনা তা জানতে হবে।

ক্যান্সারের কারণেঃ ক্যান্সারের কারণে শরীরের কোষগুলো নষ্ট হয়ে যায়। যার কারনে শরীর শুকিয়ে যায় ও ওজন কমে যায়। এছাড়াও কেমন থেরাপি দেওয়ার কারণে অনেক সময় মাথার চুল উঠে যায় ও শরীর শুকিয়ে যায়। টেস্টের মাধ্যমে দেখতে হবে ক্যান্সার জীবাণু আছে কিনা।

হস্তমৈথুন করাঃ হস্তমৈথুন করা খুব মারাত্মক সমস্যা। এ সমস্যার কারণে যৌন দুর্বলতা হয়। এছাড়া মানসিক দিক দিয়ে বিপদগ্রস্ত থাকে। যার কারনে ওজন ও স্বাস্থ্য দ্রুতই কমে যায়। যার কারনে শরীর শুকিয়ে যায়।

অনিদ্রাঃ বিভিন্ন কারণে অনিগ্রহ হতে পারে। মানসিক টেনশন মানসিক উদ্যোগ সহ বিভিন্ন ডিভাইসের প্রতি আসক্ত হয়ে রাত্রি জাগরণ ইত্যাদির কারণে রাতে নিয়মিত ঘুম না হলে শরীর শুকিয়ে যায়। 

ভিটামিন ডি এর অভাবঃ ভিটামিন ডি এর অভাবে শরীরের চামড়া খসখসে হয় শরীর শুকিয়ে যায় এবং ওজন কমে যায়। নিয়মিত ভিটামিন ডি জাতীয় খাবার খাওয়া এবং রোদ থেকে ভিটামিন ডি সংগ্রহ করার মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান হয়।

তাই আসুন সমস্যা চিহ্নিত করে শরীর শুকিয়ে যাওয়ার চিকিৎসা করি।

কোন ভিটামিনের অভাবে শরীর দুর্বল হয় 

প্রিয় পাঠক আপনারা হতে জানতে চাচ্ছেন কোন ভিটামিনের অভাবে শরীর দুর্বল হয়। বৈজ্ঞানিকগণ গবেষণা করে বলেছেন মানুষ সুস্থ ভাবে বেঁচে থাকতে ভিটামিন বি এর সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। শরীরে পর্যাপ্ত ভিটামিন বি থাকলে শরীরে দুর্বল হবে না। তবে এই অর্থ নয় যে অন্যান্য ভিটামিন দরকার নাই। 

প্রকৃতপক্ষে সব ভিটামিনের এই প্রয়োজন রয়েছে তবে ভিটামিন বি এর প্রয়োজন একটু বেশি। আর ভিটামিন বি একটি মাত্র ভিটামিন নয় এটি একটি পরিবার। ভিটামিন বি এর পরিবার হলো ভিটামিন বি ১ থায়ামিন,ভিটামিন বি ২ রাইবোফ্ল্যাভিন, ভিটামিন বি ৩ নিয়া সিন ভিটামিন বি ৫ প্যান্টো থেনিক এসিড, ভিটামিন বি সিক্স, ভিটামিন বি ৭ বায়োটিন, ভিটামিন বি নাইন ফোলেট বা ফলিক এসিড ভিটামিন বি টুয়েলভ। 

এ ভিটামিন এর পাশাপাশি আরেকটি ভিটামিন আছে যা যার অভাবে শরীর অত্যাধিক দুর্বল ও ক্লান্ত বোধ হয়। সেই ভিটামিন হলো ভিটামিন ডি। ভিটামিন ডি এর অভাব হলে ছোট খাটো কাজ করতে যে হাঁপাতে হয়। এছাড়াও আয়রনের অভাবে শরীর দুর্বল হয়। এসকল ভিটামিন জাতীয় খাবার খেলে শরীরের দুর্বলতা কমে যায়। আর সূর্যালোক থেকে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ডি পাওয়া যায়।

শরীর দুর্বল হলে কি খেতে হয় 

শরীর দুর্বলতা হলে নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার মাধ্যমে শরীরের দুর্বলতা দূর করা যায়। আসুন জেনে নেই সে পুষ্টিকর খাবারের তালিকা।

দুধ খাওয়ার মাধ্যমেঃ দুধে পর্যাপ্ত ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ বিদ্যমান। দুধকে বলা হয় আদর্শ খাদ্য। দুধ খাওয়ার মাধ্যমে দুর্বলতা দূর করা সম্ভব। এক গ্লাস দুধের কিছু এক চামচ মধু মিশ্রিত করে খেতে পারেন। তাতে পুষ্টিগুণবেড়ে যাবে।

 এক গ্লাস দুধের মধ্যে দু তিনটি ডুমুর ফল দিয়ে জাল করে খেয়ে নিতে পারেন। ডুমুর ফলসহ দুধ খেলে তাড়াতাড়ি দুর্বলতা কেটে যায়। শারীরিক দুর্বলতা দূর করার জন্য দুধে বাটার মিস করিও খেতে পারেন।

ডিম খাওয়ার মাধ্যমেঃ ডিমে পর্যাপ্ত আয়রন ফলিক এসিড প্রোটিন ভিটামিন রাইবোফ্লাইভিন ইত্যাদি রয়েছে। তাই নিয়মিত ডিম খাওয়ার কারণে শরীরের দুর্বল কমে যায়।

বাদাম খাওয়ার মাধ্যমেঃ কাজুবাদামকাঠবাদাম পেস্তা চিনা বাদাম ইত্যাদি খাওয়ার কারণে শরীরের দুর্বলতা কেটে যায়। দুই তিনটি কাজুবাদাম কয়টি কিসমিস ও একটু ডুমুর সারারাত ভিজিয়ে রাখুন। কিসমিস এবং ডুমুর আলাদা করে উক্ত পানি সকালে খেয়ে নিন। সরিয়ে রাখার ডুমুর ও কিসমিস পেস্ট করে খেয়ে নিন। খুব তাড়াতাড়ি শরীরের দুর্বলতা কেটে যাবে।

কলা খাওয়ার মাধ্যমেঃ কলা পটাশিয়াম ও মিনারেলের উৎস। তাই কলা খাওয়ার কারণে শরীরে পটাশিয়াম ও বিভিন্ন মিনারের এবং শক্তি বৃদ্ধি হয়। এছাড়াও করাতে প্রচুর ফ্রুকটোজ রয়েছে যা তাড়াতাড়ি শক্তি যোগায়। তাই নিয়মিত খোলা খাওয়ার মাধ্যমে দুর্বলতা কেটে যায়।

সামুদ্রিক মাছ খাওয়াঃ সামুদ্রিক মাছ খাওয়ার মাধ্যমে শারীরিক দুর্বলতা কেটে যায় সামুদ্রিক মাছে প্রচুর মেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড রয়েছে। সামুদ্রিক মাছ খেলে শরীরে হরমোনের মাত্রা ঠিক থাকে এবং হজম শক্তি বৃদ্ধি করে। প্রচুর পরিমাণ সামুদ্রিক মাছ খেলে শারীরিক দুর্বলতা কেটে যায়।

ফার্মেন্টেড খাবারঃ বিশেষজ্ঞরা শারীরিক দুর্বলতা কাটার  জন্য ফার্মেন্টেড খাবারের পরামর্শ দেন। খাবারের মধ্যে দই হলো শরবতকৃষ্ট। খাওয়ার পরে খাবারের তালিকায় দই দেখতে পারেন। তাহলে শারীরিক দুর্বলতা কেটে যাবে।

ফায়বার যুক্ত খাবার খাওয়াঃ ফাইবারযুক্ত খাবার খেলে হজম প্রক্রিয়া ভালো হয় স্নায়ুকে সতেজ রাখে সেই সঙ্গে মানসিক কার্যক্ষমতার বৃদ্ধি করে। শাকসবজির ও শষ্য জাতীয় খাবার খান। তাহলে শারীরিক দুর্বলতা কেটে যাবে।

খেজুর খাওয়াঃ অত্যন্ত শক্তিশালী শর্করা জাতীয় খাবার। প্রতিদিন খাবারের তালিকায় খেজুর রাখলে খুব তাড়াতাড়ি দুর্বলতা কেটে যাবে। এছাড়াও আরো অনেক খাবার আছে যেগুলো খাওয়ার ফলে শারীরিক দুর্বলতা কাটে। আমরা খাবার খাওয়ার মাধ্যমেই শারীরিক দুর্বলতা দূর করব আশা করি। আজকের পোস্ট কোন ভিটামিনের অভাবে শরীর কাপে।

লেখক এর মন্তব্য

সুপ্রিয় পাঠকগণ আজকের আলোচনা করা হলো কোন ভিটামিনের অভাবে শরীর কাঁপে। আরো আলোচনা করা হয়েছে শরীর দুর্বল হওয়ার কারণ। এছাড়াও শরীরের দুর্বলতা কাটানোর জন্য কি কি খাবার খাওয়া দরকার। আমরা প্রাকৃতিক ভাবে খাবার খাওয়ার মাধ্যমে শারীরিক দুর্বলতা কাটিয়ে সুস্থ ভাবে চলাফেরা করব। 

ওষুধ নির্ভর না হয়ে প্রাকৃতিকভাবে শরীর সুস্থ রাখা অনেক ভালো। ইহাতে ওষুধের কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হয় না। তাই এগুলো বিষয়ে জানার জন্য আমাদের এই কনটেন্টটি শুরুর থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন আপনাদের ভালো লাগলে নিজেকে সার্থক মনে করব। ভালো লাগলে বন্ধুদের মাঝে লাইক কমেন্ট ও শেয়ার করবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url