হজ্জ ও উমরাহ সফরে সহজ গাইড
প্রিয় পাঠক আসুন জেনে নিই হজ্জ ও উমরাহ সফরে সহজ গাইড। হজ্জ একটি ফরজ ইবাদত। পরিবার-পরিজনের ভরণপোষণ বাদে বাইতুল্লাহ শরীফ জিয়ারত করে আসার মত সম্পদ থাকলে তার জন্য হজ্জ ফরজ। ফরজ অবস্থায় পালন করা কর্তব্য।কেউ যদি হজ্জ ফরজ হওয়ার পরে হজ্জ না করেন তাহলে ইসলামের স্তম্ভ কে অমান্য করা হবে। হজ্জ করার পূর্বে হজ্জের যাবতীয় নিয়ম কানুন জানা দরকার। তাই আসুন হজ্জের যাবতীয় নিয়ম কানুন জেনে নিই।
দু'রাকাত নামাজ পড়ার পরে সাফা ও মারওয়া পাহাড়দ্বয় সাতবার প্রদক্ষিণ করুন। লক্ষণীয় বিষয় সবুজ ইন্ডিকেটর দেওয়া আছে উক্ত জায়গায় একটু জোরে জোরে হাটবেন। অতঃপর মাথা মুন্ডায়ে হালাল হবেন। হজ্জ ও উমরাহ সফরে সহজ গাইড লাইন অনুযায়ী হজের ধারাবাহিক কাজ।
হজের ইহরাম বাধাঃ হারাম শরীফে অথবা বাসা থেকে হজের নিয়তে ৮ই জিলহজ যোহরের আগেই ইহরাম বাধতে হবে। পুরুষ শেলাইবিহীন কাপড় পরবেন আর মহিলারা ঢিলে ঢালা কাপড় পড়বেন।
নিনায় অবস্থানঃ ৮ই জিলহজ জোহর থেকে ৯ই জিলহজ ফজর পর্যন্ত মিনায় অবস্থান করে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া সুন্নত।
আরাফা ময়দানে অবস্থানঃ ৯ই জিলহজ সূর্যোদয়ের পর থেকে আরাফা ময়দানে সূর্যাস্ত পর্যন্ত অবস্থান করা ফরজ। জোহর ও আসরের নামাজ একসঙ্গে পড়তে পারেন। অথবা জামাতে পড়তে পারেন। সূর্যাস্ত হলে আরাফা ময়দান হতে মুজদালিফার উদ্দেশ্যে চলে আসুন।
মুজদালিফায় অবস্থানঃ মুজদালিফায় মাগরিব ও এশার সালাত একসঙ্গে আদায় করবেন। ১০ ই জিলহজ ফজর পর্যন্ত মুজদালিফায় অবস্থান করবেন। মুজদালিফায় ৭০ টি ছোট পাথর সংগ্রহ করে রাখবেন।
কোরবানি করাঃ ১০ই জিলহজ ফজরের নামাজ পড়ে মিনার উদ্দেশ্যে রওনা দিতে হবে। অতঃপর মিনা থেকে জামারায়ে পাথর নিক্ষেপ করতে হবে। পাথর নিক্ষেপের পরে কুরবানী করতে হবে। কুরবানী হয়ে গেলে মাথা মুন্ডায়ে হালাল হতে হবে।
তাওয়াফে জিয়ারতঃ জিলহজ মাসের ১২ তারিখ সূর্যাস্ত এর পূর্বেই তাওয়াফে জিয়ারত করে নিতে হবে। তবে জিয়ারতের সঙ্গে সাফা ও মারওয়া পাহাড় সায়ী করতে হবে।
মিনা ত্যাগঃ ১৩ই জিলহজ মিনায় থাকতে না চাইলে ১২ই জিলহজ্জ সন্ধ্যার আগে অথবা সন্ধ্যার পরে মিনা ত্যাগ করে চলে আসুন। বাংলাদেশী হজ যাত্রীগণ সবশেষে বিদায়ী তাওয়াফ করবেন।
ইহরাম অবস্থায় এহরামের কাপড় পরিবর্তন করা যাবে। ইহরাম অবস্থায় কেউ মারা গেলে সাধারন মৃত্যুর মতোই গোসল দিয়ে তাকে জানাজা করতে হবে। এহরাম অবস্থায় সেলাই করাব্যাগ রাখা যাবে। ইরাম অবস্থায় সুগন্ধি ব্যবহার করা নিষেধ। কোন পশু শিকার করা যাবে না। মাথা ও মুখমন্ডল ব্যতীত শরীর অন্যান্য অংশ ঢেকে রাখা যাবে।
এহরাম অবস্থায় পান খাওয়া নিষিদ্ধ নয় তবে পানের সুগন্ধি খাওয়া যাবেনা। উমরার ফরজ দুটি ইহরাম বাধা ও বাইতুল্লাহ শরীফ তাওয়াফ করা। ওমরার ওয়াজিব দুইটি মাথার চুল মুন্ডানো সাফা ও মারওয়া পাহাড় সায়ী করা। তাওয়াফের পরেই দু'রাকাত নফল নামাজ পড়া উত্তম। হজ্জের ফরজ তিনটি এহরাম বাধা আরাফা ময়দানে অবস্থান করা ও তাওয়াফে জিয়ারত করা।
এখানে একটি বিষয় আছে যে ভারত অথবা পাকিস্তান হজ যাত্রীদের জন্য ভর্তুকির ব্যবস্থা করে। অপরপক্ষে বাংলাদেশ সরকার হজ যাত্রীদের কাছ থেকে অতি বেশি মুনাফা গ্রহণ করে এবং বিমান ভাড়া গুলো দ্বিগুণ পরিমাণ। তাই আমরা আশা করি বাংলাদেশ সরকারের সুদৃষ্টি আসুক যে হজ্জ যাত্রীদের খরচ কমাবে।
যার কারণে অনেকেই হজ্জে যাওয়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেলতেছে। এজন্য দুই বছর থেকে হজ্জের যাত্রীদের কোটা পূরণ হচ্ছে না। আশা করি সরকার হজ্জের জন্য অতিরিক্ত খরচটা কমিয়ে দিয়ে জনগনকে হজ্জ পালন করার সুযোগ দান করবেন। আজকের কোন কন্টেন্ট ভালো লাগলে সার্থক মনে করব। ভাল লাগলে লাইক কমেন্ট ও শেয়ার করবেন।
ভূমিকা
হজ্জ আমাদের জন্য ফরজ ইবাদত। ইসলামের চতুর্থ স্তম্ভ। বাইতুল্লাহ শরীফ জিয়ারত করে আসার মত সম্পদ থাকলে হজ্জ ফরজ। হজ্জের মাধ্যমে খোদাভীতির চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌছা যায়। হজ্জের যাবতীয় কার্যক্রম রাসূল (সাঃ) এর জন্মভূমির সঙ্গে সম্পৃক্ত।আরও পড়ুনঃ জেনে নিই স্বপ্নের পদ্মা সেতু বিশ্বের কততম সেতু
তাই হজ্জে যাওয়ার ফলে রাসুল (সাঃ) এর স্মৃতি বিজড়িত সকল জায়গা দেখা যায়। আজ আমাদের কন্টেন্ট হজ্জ ও উমরাহ সফরে সহজ গাইড লাইন। আসুন এই পোস্ট থেকে ওমরা ও হজ্জ সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য জেনে নিই।
সে সদ্য ভূমিষ্ঠ শিশুর মত নিষ্পাপ হয়ে ফিরে আসে। বুখারী ১৫২১। রাসূলুল্লাহ আরো বলেছেন কবুল হজ্জের পুরস্কার হল জান্নাত। বুখারী ১৭৭৩। এখান থেকে অনুমান করা যায় যে সামর্থ্য থাকলে হজ্জ পালন করা ফরজ। হজ্জ তিন প্রকার। তামাত্ত কিরান ও ইফরাদ।
হজ্জে তামাত্ত আদায় পদ্ধতিঃ হাজীগণ প্রথমে ইহরাম বেঁধে ওমরার যাবতীয় কাজ পালন করবেন। ওমরা পালন শেষে মাথা মুণ্ডায়ে হালাল হবেন। পরবর্তী হজ্জের জন্য পুনরায় ইহরাম বাধবেন। হজ্জের যাবতীয় কাজ পালন করবেন। অতঃপর কুরবানী দিয়ে হালাল হবেন। এই প্রক্রিয়ায় হজ্জ পালন করাকে তামাত্ত হজ্জ বলা হয়।
হজ্জে কিরান আদায় পদ্ধতিঃ হজ্জ কারিগন ইহরাম অবস্থায় ওমরার যাবতীয় কাজ পালন করবেন। ওমরা পালন করার পরে হালাল না হয়ে এহরাম অবস্থায় থেকে যাবেন। একই ইহরামে হজ্জের যাবতীয় কাজ পালন করবেন। হজ্জের যাবতীয় কাজ পালন শেষে কুরবানী করে হালাল হবেন। এই প্রক্রিয়ায় হজ্জ করাকে হজ্জে কিরাণ বলে।
হজ্জে ইফরাদ আদায় পদ্ধতিঃ এ প্রক্রিয়ায় ওমরা পালন করা হয় না। হজ্জ কারিগণ মক্কা নগরীতে পৌছার আগে মিকাতের স্থানে এহরাম বেধে নিবেন। এহরাম বাধার পরে এহরাম অবস্থায় হজ্জের যাবতীয় কাজ পালন করবেন। হজ্জের যাবতীয় কাজ পালন হয়ে গেলে মাথা মুন্ডায়ে হালাল হবেন। এ প্রক্রিয়ায় শুধু হজ্জ করতে হয় ওমরা করার প্রয়োজন হয় না। আসুন অর্থ সম্পদ থাকলে হজ্জ পালন করি ও হজ্জ ও উমরাহ সফরে সহজ গাইড লাইন ফলো করি।
হজ্জের নিয়ম
হজ্জ ইসলামের চতুর্থ স্তম্ভ ও ফরজ ইবাদত। হজ্জ সম্পর্কে আল্লাহ তা'আলা বলেন আর প্রত্যেক সামর্থ্যবান মানুষের উপর আল্লাহর জন্য বাইতুল্লাহ হজ্জ করা অবশ্য কর্তব্য। আল ইমরান ৯৭। রাসূলুল্লাহ বলেছেন যে ব্যক্তি কোনরূপ অশ্লীল কথা বা গুনাহের কাজে লিপ্ত না হয়ে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষ্যে হজ্জ সম্পন্ন করে।সে সদ্য ভূমিষ্ঠ শিশুর মত নিষ্পাপ হয়ে ফিরে আসে। বুখারী ১৫২১। রাসূলুল্লাহ আরো বলেছেন কবুল হজ্জের পুরস্কার হল জান্নাত। বুখারী ১৭৭৩। এখান থেকে অনুমান করা যায় যে সামর্থ্য থাকলে হজ্জ পালন করা ফরজ। হজ্জ তিন প্রকার। তামাত্ত কিরান ও ইফরাদ।
হজ্জে তামাত্ত আদায় পদ্ধতিঃ হাজীগণ প্রথমে ইহরাম বেঁধে ওমরার যাবতীয় কাজ পালন করবেন। ওমরা পালন শেষে মাথা মুণ্ডায়ে হালাল হবেন। পরবর্তী হজ্জের জন্য পুনরায় ইহরাম বাধবেন। হজ্জের যাবতীয় কাজ পালন করবেন। অতঃপর কুরবানী দিয়ে হালাল হবেন। এই প্রক্রিয়ায় হজ্জ পালন করাকে তামাত্ত হজ্জ বলা হয়।
হজ্জে কিরান আদায় পদ্ধতিঃ হজ্জ কারিগন ইহরাম অবস্থায় ওমরার যাবতীয় কাজ পালন করবেন। ওমরা পালন করার পরে হালাল না হয়ে এহরাম অবস্থায় থেকে যাবেন। একই ইহরামে হজ্জের যাবতীয় কাজ পালন করবেন। হজ্জের যাবতীয় কাজ পালন শেষে কুরবানী করে হালাল হবেন। এই প্রক্রিয়ায় হজ্জ করাকে হজ্জে কিরাণ বলে।
হজ্জে ইফরাদ আদায় পদ্ধতিঃ এ প্রক্রিয়ায় ওমরা পালন করা হয় না। হজ্জ কারিগণ মক্কা নগরীতে পৌছার আগে মিকাতের স্থানে এহরাম বেধে নিবেন। এহরাম বাধার পরে এহরাম অবস্থায় হজ্জের যাবতীয় কাজ পালন করবেন। হজ্জের যাবতীয় কাজ পালন হয়ে গেলে মাথা মুন্ডায়ে হালাল হবেন। এ প্রক্রিয়ায় শুধু হজ্জ করতে হয় ওমরা করার প্রয়োজন হয় না। আসুন অর্থ সম্পদ থাকলে হজ্জ পালন করি ও হজ্জ ও উমরাহ সফরে সহজ গাইড লাইন ফলো করি।
হজ্জ ও উমরাহ সফরে সহজ গাইড
হজ্জ ও উমরাহ সফরে সহজ গাইড লাইন পালন করা দরকার। হজ্জ কারিগন গোসল করে ওযু করে নিবেন। অতঃপর মিকাতের পূর্বেই পুরুষেরা সেলাই বিহীনএহরামের কাপড় পড়ে নিবেন। মহিলারা ঢিলেঢালা পোশাক পড়বেন। ইহরাম পরিধান করার পরে দু'রাকাত নামাজ পড়তে পারেন।
আরও পড়ুনঃ বঙ্গবন্ধু- শেখ মুজিবুর রহমান টানেল কোথায় অবস্থিত
বাংলাদেশী হজ্জ যাত্রীদের জন্য ইয়ালামলাম পাহাড়ে পৌছার সঙ্গে সঙ্গে বিমান বালাগন সংকেত দিবেন। সঙ্গে সঙ্গে ইহরামের নিয়ত করে নিবেন। মক্কা নগরীতে পৌছার পরে ওমরার জন্য বাইতুল্লাহ শরীফে গমন করুন। সাতবার প্রদক্ষিণ করে তাওয়াফ করুন। তাওয়াফের পরে দুরাকাত নামাজ পড়বেন।
দু'রাকাত নামাজ পড়ার পরে সাফা ও মারওয়া পাহাড়দ্বয় সাতবার প্রদক্ষিণ করুন। লক্ষণীয় বিষয় সবুজ ইন্ডিকেটর দেওয়া আছে উক্ত জায়গায় একটু জোরে জোরে হাটবেন। অতঃপর মাথা মুন্ডায়ে হালাল হবেন। হজ্জ ও উমরাহ সফরে সহজ গাইড লাইন অনুযায়ী হজের ধারাবাহিক কাজ।
হজের ইহরাম বাধাঃ হারাম শরীফে অথবা বাসা থেকে হজের নিয়তে ৮ই জিলহজ যোহরের আগেই ইহরাম বাধতে হবে। পুরুষ শেলাইবিহীন কাপড় পরবেন আর মহিলারা ঢিলে ঢালা কাপড় পড়বেন।
নিনায় অবস্থানঃ ৮ই জিলহজ জোহর থেকে ৯ই জিলহজ ফজর পর্যন্ত মিনায় অবস্থান করে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া সুন্নত।
আরাফা ময়দানে অবস্থানঃ ৯ই জিলহজ সূর্যোদয়ের পর থেকে আরাফা ময়দানে সূর্যাস্ত পর্যন্ত অবস্থান করা ফরজ। জোহর ও আসরের নামাজ একসঙ্গে পড়তে পারেন। অথবা জামাতে পড়তে পারেন। সূর্যাস্ত হলে আরাফা ময়দান হতে মুজদালিফার উদ্দেশ্যে চলে আসুন।
মুজদালিফায় অবস্থানঃ মুজদালিফায় মাগরিব ও এশার সালাত একসঙ্গে আদায় করবেন। ১০ ই জিলহজ ফজর পর্যন্ত মুজদালিফায় অবস্থান করবেন। মুজদালিফায় ৭০ টি ছোট পাথর সংগ্রহ করে রাখবেন।
কোরবানি করাঃ ১০ই জিলহজ ফজরের নামাজ পড়ে মিনার উদ্দেশ্যে রওনা দিতে হবে। অতঃপর মিনা থেকে জামারায়ে পাথর নিক্ষেপ করতে হবে। পাথর নিক্ষেপের পরে কুরবানী করতে হবে। কুরবানী হয়ে গেলে মাথা মুন্ডায়ে হালাল হতে হবে।
তাওয়াফে জিয়ারতঃ জিলহজ মাসের ১২ তারিখ সূর্যাস্ত এর পূর্বেই তাওয়াফে জিয়ারত করে নিতে হবে। তবে জিয়ারতের সঙ্গে সাফা ও মারওয়া পাহাড় সায়ী করতে হবে।
কংকর নিক্ষেপঃ ১০ই জিলহজ ১১ ই জিলহজ ও ১২ ই জিলহজ এই তিনদিন পাথর নিক্ষেপ করতে হবে।
মিনা ত্যাগঃ ১৩ই জিলহজ মিনায় থাকতে না চাইলে ১২ই জিলহজ্জ সন্ধ্যার আগে অথবা সন্ধ্যার পরে মিনা ত্যাগ করে চলে আসুন। বাংলাদেশী হজ যাত্রীগণ সবশেষে বিদায়ী তাওয়াফ করবেন।
হজ্জ ও মাসায়েল
হজ্জের মাসলা মাসায়েল গুলো নিম্নরুপ প্রথম মাসলা তালবিয়া পূর্ণ করতে হবে। মহিলারা এহরাম অবস্থায় হাতমোজা ও পা মোজা ব্যবহার করতে পারবে। তবে অনেক মুহাদ্দিসগণ হাত মোজা না পড়ে হাত বাহির করে রাখাই ভালো বলেছেন। এহরাম অবস্থায় মহিলাদের পর পুরুষের সামনে মুখমন্ডলখোলা নিষিদ্ধ।ইহরাম অবস্থায় এহরামের কাপড় পরিবর্তন করা যাবে। ইহরাম অবস্থায় কেউ মারা গেলে সাধারন মৃত্যুর মতোই গোসল দিয়ে তাকে জানাজা করতে হবে। এহরাম অবস্থায় সেলাই করাব্যাগ রাখা যাবে। ইরাম অবস্থায় সুগন্ধি ব্যবহার করা নিষেধ। কোন পশু শিকার করা যাবে না। মাথা ও মুখমন্ডল ব্যতীত শরীর অন্যান্য অংশ ঢেকে রাখা যাবে।
এহরাম অবস্থায় পান খাওয়া নিষিদ্ধ নয় তবে পানের সুগন্ধি খাওয়া যাবেনা। উমরার ফরজ দুটি ইহরাম বাধা ও বাইতুল্লাহ শরীফ তাওয়াফ করা। ওমরার ওয়াজিব দুইটি মাথার চুল মুন্ডানো সাফা ও মারওয়া পাহাড় সায়ী করা। তাওয়াফের পরেই দু'রাকাত নফল নামাজ পড়া উত্তম। হজ্জের ফরজ তিনটি এহরাম বাধা আরাফা ময়দানে অবস্থান করা ও তাওয়াফে জিয়ারত করা।
হজ্জের খরচ
বর্তমানে সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ্জের খরচ পাঁচ লাখ ৭৯ হাজার টাকা ধার্য করা হয়েছে। আর বেসরকারিভাবে সর্বনিম্ন প্যাকেজ ৫ লাখ ৯০ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। ২০২৩ সালে এই প্যাকেজ ছিল সরকারিভাবে প্যাকেজ ছিল ৬ লাখ ৮৩ হাজার টাকা ও বেসরকারিভাবে প্যাকেজ ছিল ৬ লাখ ৭২ হাজার টাকা।আরও পড়ুনঃ জেনে নিনএলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে কাকে বলে
বর্তমানে হজ যাত্রীদের যে কোঠা তার কোনক্রমেই পূরণ হচ্ছে না। সাধারণ লোকজন অনেক কষ্টে আছে যে এই এত টাকা প্যাকেজ করার জন্য। হজ এজেন্সির হাব এর সভাপতি বিবিসি বাংলাকে বলেন এবারেও লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে না। হজ্জে যাওয়ার জন্য লোকজন আগ্রহ হারিয়ে ফেলতেছে।
এখানে একটি বিষয় আছে যে ভারত অথবা পাকিস্তান হজ যাত্রীদের জন্য ভর্তুকির ব্যবস্থা করে। অপরপক্ষে বাংলাদেশ সরকার হজ যাত্রীদের কাছ থেকে অতি বেশি মুনাফা গ্রহণ করে এবং বিমান ভাড়া গুলো দ্বিগুণ পরিমাণ। তাই আমরা আশা করি বাংলাদেশ সরকারের সুদৃষ্টি আসুক যে হজ্জ যাত্রীদের খরচ কমাবে।
লেখক এর মন্তব্য
হজ্জ ও উমরাহ সফরে সহজ গাইড লাইন সম্পর্কে আমাদের সবার জানা দরকার। এছাড়া বাংলাদেশ মুসলিম রাষ্ট্র। হজ্জ হল ইসলামের চতুর্থ স্তম্ভ। অতএব হজ্জ পালনের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে সহায়তা থাকা দরকার। অথচ তার বিপরীতে হজ্জের সময় অতিরিক্ত বিমান ভাড়া ও অন্যান্য খরচ নেওয়ার ফলে হজ্জ যাত্রীদের খরচ অনেক গুণ বেড়ে গিয়েছে।যার কারণে অনেকেই হজ্জে যাওয়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেলতেছে। এজন্য দুই বছর থেকে হজ্জের যাত্রীদের কোটা পূরণ হচ্ছে না। আশা করি সরকার হজ্জের জন্য অতিরিক্ত খরচটা কমিয়ে দিয়ে জনগনকে হজ্জ পালন করার সুযোগ দান করবেন। আজকের কোন কন্টেন্ট ভালো লাগলে সার্থক মনে করব। ভাল লাগলে লাইক কমেন্ট ও শেয়ার করবেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url