বিশ্বের কত তম রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র
প্রিয় পাঠক আসুন জেনে নিয়ে বিশ্বের কত তম রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র। বাংলাদেশের বিদ্যুতের চাহিদা মিটানোর জন্য সবচেয়ে বড় প্রজেক্ট রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করা হচ্ছে। এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি স্থাপন হলে দেশের চাহিদার ১৫ ভাগ বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে। এ প্রকল্প অনেক ব্যয়বহুল প্রকল্প।
যার নির্মাণ খরচ ১ লাখ ১৩ হাজার ৯৯২ কোটি টাকা। রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের খরচের ৯০ ভাগ সোভিয়েত রাশিয়া। বাকি দশভাগ দিতে হবে বাংলাদেশ সরকার কে। এই প্রকল্প চালু হলে বছরে ৫৬ কোটি ডলার রাশিয়াকে দিতে হবে।
ভূমিকা
রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র পাবনা জেলায় অবস্থিত। এ পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র বাংলাদেশে ২.৪ গিগাওয়াট বিদ্যুৎ প্রকল্প। এ প্রকল্পটি ঢাকা থেকে ১৪০ কিলোমিটার পশ্চিমে পদ্মা নদীর তীরে পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার রূপপুরে নির্মিত হচ্ছে। এই পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র বাংলাদেশে প্রথম। এ বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালু হলে দেশের বিদ্যুৎ চাহিদার ১৫ ভাগ বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে।
আর ও পড়ুনঃ মহিষী নারী হযরত খাদিজা (রাঃ)এর সঙ্গে রাসুল (সাঃ)এর বন্ধন
বিশ্বের কত তম রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র। এ বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালু হলে একদিকে বিদ্যুৎ উৎপন্ন হবে অন্যদিকে দেশের অনেক বেকারদের কর্মসংস্থান হবে। তাই আশা করি খুব তাড়াতাড়ি যেন বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালু হয়। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালু হলে বছরে ৫৬ কোটি ডলার রাশিয়াকে পরিশোধ করতে হবে।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র কবে উদ্বোধন করা হয়
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী ১৯৬১ সালে প্রথম রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০২৩ সালের রাশিয়া সফরে দেশটির সঙ্গে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্পের ঋণচুক্তির স্বাক্ষর করেন। রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের প্রকল্প নেওয়া হয়।
২০১৩ সালের ২ অক্টোবর একাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি স্থাপিত হচ্ছে পাবনা জেলার ঈশ্বরদী উপজেলার পাকশী ইউনিয়নের রূপপুর গ্রামে পদ্মা নদীর তীরে।দুটি ইউনিটের মাধ্যমে বিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজ চলছে। একটি ইউনিট প্রস্তত হয়ে গেছে। দুই ইউনিটে ১২০০ মেগাওয়াট করে ২৪০০ মেগওয়ার বিদ্যুৎ উৎপন্ন হবে।
বিশ্বের কত তম রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র
প্রিয় পাঠক বিশ্বের কত তম রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র। রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র বাংলাদেশের মধ্যে একটি। এ প্রকল্পটি চালু হলে বিদ্যুতের চাহিদা অনেকটাই পূরণ হবে। সাধারণত বাংলাদেশের বিদ্যুৎ চাহিদার ১৫ভাগ রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে পাওয়া যাবে। গোটা পৃথিবীতে ৩০ টি দেশে ৪৪৯টি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র রয়েছে।
বিদ্যুৎ কেন্দ্র হতে উৎপাদিত বিদ্যুতের পরিমাণ চাহিদার ১২ ভাগ। দুটি দেশে আরও ৬৫টি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণাধীন রয়েছে। ২০২৫ সাল পর্যন্ত আরো 27 টি দেশে ১৭৩ টি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের কাজ চলছে। পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরিকৃত দেশের মধ্যে আমাদের বাংলাদেশেও রয়েছে।
বর্তমানে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে 21টি পারমাণবিক বিদ্যুৎ চুল্লি চালু রয়েছে। আরো ২৪ টি পারমাণবিক চুল্লি প্রক্রিয়াধীন আছে। ভারতে ২০২৪ এবং ২০২৫ সাল নাগাদ যথাক্রমে ২৭ হাজার ৪৮০ মেগাওয়াট ও ৩৬ হাজার মেগাওয়াট পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্য স্থির করেছে। বর্তমান চীনে ৩০ টি পারমাণবিক চুল্লি চালু আছে।
২৮ টি চুল্লি নির্মাণাধীন রয়েছে। ২০২০ সালে ৩৯ হাজার মেগাওয়াট পারমাণবিক বিদ্যুৎ লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করেছে। বাংলাদেশে এটি প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র। ও বিশ্বের মধ্যে ৩৪ তম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মেয়াদ কত বছর
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী ১৯৬১ সালে প্রথম রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০২৩ সালের রাশিয়া সফরে দেশটির সঙ্গে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্পের ঋণচুক্তির স্বাক্ষর করেন।
আর ও পড়ুনঃ পাইলস হলে কি কি খাওয়া নিষেধ
রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের প্রকল্প নেওয়া হয়। রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র বাংলাদেশের মেগা প্রকল্প এর মধ্যে একটি। একক হিসেবে এটি বাংলাদেশের মধ্যে সর্ববৃহৎ প্রকল্প। এ প্রকল্পটি পরিবেশবান্ধব ও আর্থিকভাবে লাভজনক।
রাশিয়ার রসাটমের এটোমস্ট্রোয় একপোট নামীয় সংস্থাকে এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরুর পর ১০০ বছর বিদ্যুতের স্থায়িত্ব থাকবে।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র কত মেগাওয়াট
প্রিয় পাঠক আপনি হয়তো জানতে চেষ্টা করতেছেন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে উৎপন্ন বিদ্যুৎ কত মেগাওয়াট হবে। গুগলে অনুসন্ধান করে দেখছেন পাননি। আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করলে এ তথ্যটি পেয়ে যাবেন। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পটি দুটি ইউনিটে সম্পন্ন হবে।
প্রতি ইউনিটে ১২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপন্ন হবে। দুটি ইউনিটে ২৪০০ মেগা বিদ্যুৎ উৎপন্ন হবে। যা আমাদের দেশের চাহিদার১৫ ভাগ। আমাদের আজকের বিষয় বিশ্বের কত তম রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র কোথায়
আমাদের আজকের বিষয় বিশ্বের কত তম রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র। প্রিয় পাঠক আজকে আমরা আলোচনা করব রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র কোথায় অবস্থিত। রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি হল ২.৪ গিগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন বিদ্যুৎ কেন্দ্র। এটি রাশিয়ার স্টেট এডমিকএনার্জি কর্পোরেশন কর্তৃক তৈরি হচ্ছে। এই বিদ্যুৎ প্রকল্পটি বাংলাদেশের প্রথম।
রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির ঢাকা থেকে 140 কিলোমিটার পশ্চিমে পাবনা জেলার ঈশ্বরদী উপজেলার পাকশী ইউনিয়নের রূপপুর নামক গ্রামে পদ্মা নদীর তীরে অবস্থিত। এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি দেশের চাহিদার ১৫ ভাগ বিদ্যুৎ উৎপন্ন করবে।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র সাধারণ জ্ঞান
আমাদের আজকের বিষয় রূ বিশ্বের কত তম রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য জানা দরকার। তথ্য জানার জন্য সাধারণ জ্ঞান আলোচনা করা হলো।
আর ও পড়ুনঃ মাছ চাষে অর্ধেকের বেশি খরচ কোন খাতে হয়
রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র কোথায় অবস্থিত?
উত্তর- পাবনা জেলার ঈশ্বরদী উপজেলায় পদ্মা নদীর ধার রূপপুরে অবস্থিত।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র কত ওয়াটের?
উত্তর- ২৪০০ ওয়াটের।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন ক্ষমতা কত?
উত্তর- ২.৪ গিগা ওয়ার্ড।
রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র কোন নদীর তীরে অবস্থিত?
উত্তর- পদ্মা নদীর তীরে অবস্থিত।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বাজেট কত?
উত্তর- ১ লক্ষ্য১৩ হাজার ৯৯২ কোটি টাকা।
রুপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মেয়াদ কত?
উত্তর-৬০ বছর।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জ্বালানি কি?
উত্তর- ইউরেনিয়াম।
রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রকল্পমেয়াদ কত?
উত্তর- ২০১৬ সালের জুলাই থেকে ২০২৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করেছে কোন কোম্পানি?
উত্তর- রাশিয়ান কোম্পানি।
বাংলাদেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র কোনটি?
উত্তর- রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র।
রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কোন চুল্লি ব্যবহার করা হয়?
উত্তর- রাশিয়ান vver-1200।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র কোন মন্ত্রণালয়ের অধীনে?
উত্তর- বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অধীনে।
লেখকের মন্তব্য
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র তৈরিতে দেশের অনেক অর্থনৈতিক ভূমিকা রাখবে। বিশ্বের কত তম রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র। তবে বড় সমস্যা হলো এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে অত্যাধিক দুর্নীতি ও জালিয়াতি জড়িত। কষ্টের ব্যাপার হলো বালিশ গুলো নিচ থেকে উপরে তুলতে হাজার হাজার টাকা লাগে।
এজন্য উচিত সরকারকে যথাযথ এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দুর্নীতি দূর করে দেশের অর্থনীতিতে এ বিদ্যুৎ কেন্দ্র ভূমিকা রাখার সুযোগ করে দিতে।তাই আসুন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র সম্পর্কে জানত এই ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন। আশা করি ভালো লাগবে। ভালো লাগলে বন্ধুদের মাঝে লাইক কমেন্ট ও শেয়ার করবেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url