পেট ফাঁপা দূর করার ঘরোয়া উপায়
সুপ্রিয় পাঠকগণ আপনারা হয়তো জানেন না পেট ফাঁপা দূর করার ঘরোয়া উপায়। সাধারণত কি কি খাবার খেলে পে ট ফাপে। আবার পেট ফাঁপা সমস্যা হলে কিভাবে সেটা নিরাময় করা হবে এ ব্যাপারে আমাদের জানা থাকা দরকার। আরো জানা থাকা দরকার হঠাৎ করে গ্যাস হলে কিভাবে গ্যাস কমানো যাবে।
কোন খাদ্য খেলে আমাদের গ্যাস গুলো বেড়ে যাবে। অথবা কোন কোন খাবার খেলে গ্যাস হবে না এগুলো সব কিছু জানা প্রয়োজন। প্রিয় পাঠক এগুলো জানতে হলে আমাদের এই ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন। আশা করা যায় এসব ব্যাপারে যাবতীয় তথ্য পেয়ে যাবেন।
ভূমিকা
আমরা আমাদের খাদ্য তালিকায় বিশুদ্ধ খাবার রাখতে পারছি না। চারিদিকে ভেজাল খাবারের ভরপুর। ভেজাল খাবার খাওয়ার কারণেই আমাদের মাঝে গ্যাস্ট্রিক মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়েছে। একদিকে যেমন বীজ পোড়ানো তেল অন্যদিকে তেলের সঙ্গে অন্যান্য তেল মিশিয়ে বাজারজাত করায় আমরা ভোক্তাগণ বিপদে পড়ে গিয়েছি।
আরও পড়ুনঃ পাইলস হলে কি কি খাওয়া নিষেধ
এ অবস্থায় আমাদেরকে জানতে হবে কি খেলে অথবা কি কম খেলে আমরা গ্যাস থেকে বাঁচবো। এ ছাড়া আরো জানতে হবে পেট ফাঁপা দূর করার ঘরোয়া উপায় গুলো। আসুন আমরা গ্যাস্ট্রিক হতে বাঁচার জন্য সচেতন হই। যেগুলো খাবার খেলে গ্যাস বৃদ্ধি হয় সেগুলো খাবার বাদ দিই।
অতিরিক্ত গ্যাস হলে কি করনীয়
গ্যাস্ট্রিক বিশেষজ্ঞ ডাক্তার কোয়েল পাল জানান খাবারের কারণে একমাত্র গ্যাস হয়। খাবার পরিবর্তন করার মাধ্যমে গ্যাস দূর করা সম্ভব। নিজেই চিন্তা করতে হবে কি খাবার খেলে অত্যাধিক গ্যাস হয় তা বাদ দিতে হবে।এরপরেও গ্যাস হলে কিছু নিয়ম পালন করলে গ্যাস থেকে বাঁচা যায়।
নিয়মিত শসা খাবেনঃ শসা পেটকে ঠান্ডা রাখে। এছাড়া শশাই ফ্লেভানয়েড ও এন্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান রয়েছে। এগুলো উপাদান পেটের গ্যাস কমায় ও পাকস্থলীতে উপকারী ব্যাকটেরিয়া সংখ্যা বাড়ায়।
আদার খাওয়ার মাধ্যমেঃ আদাতে প্রচুর উপকারিতা রয়েছে। আদাতে এন্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান রয়েছে। পেটে গ্যাস হলে অথবা পেট ফাঁপা সমস্যা হলে আদা কুচি করে কেটে লবণ মিশিয়ে খেয়ে নিন। আশা করা যায় খুব অল্প সময়ে পেট ফাঁপা ও গ্যাস দূর হয়ে যাবে। এছাড়া আদা মিশ্রিত কুসুম কুসুম গরম পানি লবণ মিশ্রিত করে খেয়ে নিবেন। গ্যাসের সমস্যা থাকবে না।
ঠান্ডা দুধ খাওয়াঃ ঠান্ডা দুধ খেলে পাকস্থলীর গ্যাস্ট্রিক ও এসিডিটি দূর হয়। এছাড়া টক দই খেলেও গ্যাস্ট্রিক ও অ্যাসিডিটি দূর হয়। টক দই খাওয়ার ফলে পাকস্থলীতে উপকারী ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বৃদ্ধি পায়।
পুদিনা পাতা খাওয়ার মাধ্যমেঃ এক গ্লাস পানিতে ৫থেকে৬টি পুদিনা পাতা নিয়ে ফুটিয়ে নিবেন। উক্ত পানি খেয়ে নিবেন। পেটে গ্যাস থাকবে না এবং বমি বমি ভাব হলেও তা কেটে যাবে।
কলা ও কমলা খাওয়ার মাধ্যমেঃ কলা ও কমলা খেলে পাকস্থলীতে অতিরিক্ত সোডিয়াম দূর করে। যাহার ফলে গ্যাসের সমস্যা থাকে না। এছাড়া কলা অথবা কমলা খাওয়ার ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়ে যায়।
পেঁপে খাওয়ার মাধ্যমেঃ পেঁপেতে পাপায়া নামক এনজাইম রয়েছে যা হজম শক্তি বাড়ায়। নিয়মিত কাঁচা অথবা পাকা পিপা খেলে শরীরের হজম শক্তি বেড়ে যায়। যার কারণে গ্যাস থাকে না।
দারুচিনিঃ দারুচিনি হজমের জন্য অত্যাধিক উপকারী। একগ্লাস পানিতে আধা চামচ দারুচিনির গুঁড়া মিশিয়ে পানি ফুটাতে হবে। ফুটানো পানি দিনে দুই-তিনবার খেয়ে নিন। পেটে কোন গ্যাস থাকবে না। এ ছাড়াও পেট ফাঁপা দূর করার জন্য ঘরোয়া উপায় গুলি জানা দরকার।
আরও পড়ুনঃ মাছ চাষে অর্ধেকের বেশি খরচ কোন খাতে হয়
আমরা যাহাই খাই না কেন লাইফস্টাইল পরিবর্তন না করা পর্যন্ত গ্যাসের সমস্যা থাকবে। প্রথমে আমাদের চাপে পোড়ানো তেল থেকে বাঁচতে হবে। এক্ষেত্রে সরিষা অলিভ অয়েল নারিকেলের তেল অথবা ঘি এর মাধ্যমে রান্না বান্না করা প্রয়োজন। তাই আসুন যেগুলো খাবার খেলে গ্যাসের সমস্যা হয় সেগুলো খাবার বাদ দিই।এছাড়াও পেট ফাঁপা দূর করার ঘরোয়া উপায় জেনে নিতে হবে।
দ্রুত পেটের গ্যাস কমানোর উপায়
পেটের সমস্যা থাকলে কোন কাজ করতে ভালো লাগে না। খেতে অনেক ভয় হয়। আছে যে পেট ভালো যার সব ভালো তার। প্রিয় পাঠক আসুন কিছু নিয়ম পালন করে দ্রুত পেটের গ্যাস কমায়।
পেটে মেসেজ করাঃ একটু সরিষার তেল নিয়ে কিছুক্ষণ পেটে মেসেজ করি। পেটে মেসেজ করলে গ্যাস অন্ত্রের নিচে চলে আসবে ও পায়ুদারের মাধ্যমে বাহির হয়ে যাবে। নিয়ম হল ডান হাতটি বুকের খাঁচার হাড়ের নিচে রাখুন আর বাম হাত দিয়ে পেট মেসেজ করুন।
গরম পানিতে গোসল করাঃ গ্যাসের সমস্যার কারণে গরম পানি দিয়ে গোসল করতে পারেন। গরম পানিতে গোসল করলে অন্ত্রের উপর চাপ কমে। যার কারনে পেটে গ্যাস থাকে না।
ফাইবারযুক্ত খাবার খাওয়াঃ ফাইবারযুক্ত খাবার খান। ফাইবারযুক্ত খাবার খেলে খাদ্য হজম তাড়াতাড়ি হয়। এছাড়া পাকস্থলীতে উপকারী ব্যাকটেরিয়ার পরিমাণ বেড়ে যায়। যার কারণে পেটে গ্যাস থাকে না। একজন প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষের জন্য দিনে ৩৮ গ্রাম ফাইবার ও মহিলাদের জন্য ২৫ গ্রাম ফাইবার খাওয়া দরকার।
পানি খাওয়াঃ পেটে গ্যাসের সমস্যার কারণে জন্য পর্যাপ্ত বিশুদ্ধ পানি খাবেন। সাথে গ্রিন টি খেতে পারেন। পর্যাপ্ত পানি খেলে পেটে গ্যাস থাকতে পারে না।
ব্যায়াম করাঃ প্রতিদিন হাটাহাটি ও ব্যায়াম করলে পেটের গ্যাস কমে যায়। এছাড়া বিভিন্ন পরিশ্রমী কাজ করতে পারেন। ব্যায়াম করলে স্বাস্থ্য ভালো থাকে যার কারণে পেটে গ্যাস থাকে না।
ডাবের পানি খাওয়াঃ ডাবের পানিতে পর্যাপ্ত এন্টিঅক্সিডেন্ট আছে। এছাড়াও মিনারেলস গুলো বিদ্যমান। তাই ডাবের পানি খেলে পেটের গ্যাস দূর হয়ে যায়।
দই খাওয়াঃ দই হচ্ছে প্রবায়োটিক। দই খাওয়ার মাধ্যমে পাকস্থলীতে খারাপ ব্যাকটেরিয়া গুলো ধ্বংস হয়ে যায় এবং ভালো ব্যাকটেরিয়ার পরিমাণ বাড়ে। এই জন্য দই খেলে পেটে গ্যাস থাকে না।
রসুন খাওয়াঃ রসুন উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। রসুন খেলে পরিপাকতন্ত্র সুস্থ থাকে। যার কারণে হজম শক্তি অনেকগুণ বৃদ্ধি পায়। এইজন্য রসুন খেলে পেটে গ্যাস থাকে না। এছাড়াও পেট ফাঁপা দূর করার ঘরোয়া উপায় জেনে নিতে হবে।
প্রকৃতপক্ষে গ্যাস দূর করার চাইতে গ্যাস যাতে না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। অতিরিক্ত মসলা জাতীয় খাবার কমাতে হবে। প্রয়োজনের চাইতে বেশি প্রোটিন জাতীয় খাবার খাওয়া যাবে না। সাধারণত ভাজাপোড়া জাতীয় খাবার থেকে দূরে থাকতে হবে। তাহলে আশা করা যায় গ্যাসের সমস্যা থাকবে না।
কোন খাদ্য অতিরিক্ত খেলে পেট ফাপা রোগ হতে পারে
সাধারণত আমরা মনে করি বিভিন্ন ফল ও সবজি জাতীয় খাবার খেলে গ্যাস ও পেট ফাঁপা দূর হয়। তবে কিছু ফল ও সবজি জাতীয় খাবার রয়েছে যেগুলো বেশি খেলে পেটে গ্যাস ও পেট ফাঁপা সমস্যা বাড়িয়ে দেয়।
উচ্চ আঁশ জাতীয় খাবারঃ উচ্চ আশ জাতীয় খাবার খেলে হজমের সমস্যা হয় এবং পেট ফাঁপা সমস্যা হয়।
জটিল কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবারঃ জটিল কার্বোহাইড্রেট খাবার গুলো অন্ত্রে পৌঁছে ব্যাকটেরিয়া দারা গাজন হয়। যার কারণে পেটে গ্যাস ও পেট ফাঁপা সমস্যা হতে পারে।
ক্রূসিফেরাস জাতীয় সবজিঃ ব্রুকলি ফুলকপি বাঁধাকপি এগুলো ফ্রূক্টোজ সমৃদ্ধ জটিল কার্বোহাইড্রেড। এ ধরনের সবজি খেলে পেটে গ্যাস ও পেট ফাপা সৃষ্টি হতে পারে।
মটর ও ডালঃ সাধারণত মটর, ডাউল ও কাবলি এলিগো স্যাকারাইডস ধরনের জটিল কার্বোহাইড্রেড। এগুলো হজম করা খুব কষ্টকর। তাই এগুলো খেলে পেটে গ্যাস অথবা পেট ফাঁপা রোগ সৃষ্টি হতে পারে।
পেঁয়াজ রসুনঃ পেঁয়াজ রসুন হলো ফ্রূক্টোজ নামক জটিল কার্বোহাইড্রেট। এইজন্য পেঁয়াজ রসুন খেলে পেটে গ্যাস অথবা পেট ফাঁপা সমস্যা হতে পারে।
আপেল ও নাশপাতিঃ আপেল ও নাশপাতি উচ্চ ফাইবার জাতীয় খাবার। ইহাতে পেকটিন নামে ফাইবার রয়েছে। ইহা হজম প্রক্রিয়াতে গাজনের মাধ্যমে গ্যাস অথবা পেট ফাঁপা সমস্যা হতে পারে।
তরমুজ খাওয়াঃ তরমুজ জটিল কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার। এইজন্য বেশি পরিমাণ তরমুজ খেলে পেটে গ্যাস ও পেট ফাঁপা সমস্যা হতে পারে। তাই আসুন আমরা এই জটিল শর্করা জাতীয় খাবার সহ এগুলো খাবার একটু সতর্কতার সাথে খাই।
পেট ফাঁপা দূর করার ঘরোয়া উপায়
সাধারণত অনিয়মিত ও অনিয়ন্ত্রিত খাবার খাওয়ার ফলে পেটে বদহজম হয় ও পেটফাপা সমস্যা হয়। পেট ফাঁপা দূর করার ঘরোয়া উপায় গুলি যেনে নেয়া দরকার।
পর্যাপ্ত পানি খাওয়াঃ পর্যাপ্ত পানি পান করবেন। পর্যাপ্ত পানি পান করলে দেহে হাইড্রেট থাকে। দেহ থেকে টক্সিন বাহির হয়ে যায়। গ্যাস ও পেট ফাঁপা সমস্যা থাকে না।
গরম পানিতে গোসলঃ হালকা গরম পানিতে গোসল করুন। এছাড়া এছাড়া হিটিং ব্যাগ এর সাহায্যে ২০ মিনিট পেটে তাপ প্রয়োগ করুন। গ্যাস ও পেট ফাঁপা সমস্যা দূর হয়ে যাবে।
বেকিং সোডা খাওয়াঃ একটি গ্লাসে কিছু পানি নিয়ে সেখানে হাফ চামচ বেকিং সোডা ও হাফ চামচ লেবুর রস একসঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন। পেট ফাঁপা সমস্যা দূর হয়ে যাবে। লিভার ও অন্ত্র শক্তিশালী হবে।
আদা খাওয়াঃ এক গ্লাস পানিতে কিছু আদা কুচি করে দে পানি গরম করুন। উক্ত পানিতে কিছু লবণ মিশিয়ে মিশিয়ে খেয়ে নিন। পেতে গ্যাস ও পেট ফাঁপা থাকবে না।
কাঁচা হলুদ খাওয়াঃ কাঁচা হলুদ চিবিয়ে খেলে পেট ফাঁপা দূর হয়ে যায়। এছাড়া এক গ্লাস পানিতে এক টুকরা আদা ছেচিয়ে নিন। আদা সহ পানি গরম করে খেয়ে নিন। পেট ফাঁপা দূর হয়ে যাবে।
দারুচিনিঃ এক গ্লাস পানিতে আধা চামচ দারুচিনি গুঁড়া করে খেয়ে নিন। পেট ফাঁপা ভালো হয়ে যাবে।
সকালে কি খেলে গ্যাস হবে না
কলিকাতা পিজি হাসপাতালের বিশিষ্ট পুষ্টিবি ডাক্তার কোয়েল পাল চৌধুরী বলেন পেটে গ্যাস হলে কিছু নিয়ম পালন করলে গ্যাস দূর হয়ে যায়।
গরম পানি পান করাঃ সকালে খালি পেটে কুসুম কুসুম গরম পানি পান করলে পেটে গ্যাস থাকে না। গরম পানি পান করার ফলে শরীর থেকে টক্সিন বাহির হয়ে যায়। এছাড়া পেট থেকেও ময়লা বাহির হয়ে যায়। যার কারনে হজমশক্তি বৃদ্ধি পায় ও গ্যাস হয় না।
দই খাওয়াঃ প্রতিদিন সকালে টক দই খেতে পারেন। টক দই খেলে শরীরে খারাপ ব্যাকটেরিয়া নষ্ট করে ভাল ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি করে। যার কারণে হজম শক্তি বৃদ্ধি পায়। পেটে গ্যাস থাকে না।
কোন কোন ফল খেলে গ্যাস হয় না
নিম্নলিখিত ফল খেলে কোন গ্যাস হয় না।
তরমুজঃ তরমুজে পর্যাপ্ত পানি রয়েছে। তরমুজ খেলে শরীরের এসিডিটি বাহির করে দেয়। শরীরের নতুন করে কোন গ্যাস হয় না। এইজন্য নিয়মিত তরমুজ খাওয়া যায়।
আরও পড়ুনঃ আমলকির উপকারী পুষ্টি ও ওষধি গুনাগুণ
নারিকেল খাওয়াঃ পেটের সমস্যা হলে সুস্থতার জন্য নারিকেল খেতে পারেন। আমরা অনেকেই মনে করি নারিকেল খেলে গ্যাস হয়। প্রকৃতপক্ষে এ ধারণাটা ঠিক নয়। নারিকেল খেলে গ্যাস হয় না।
পেয়ারা খাওয়াঃ পেয়ারায় প্রচুর ফাইবার রয়েছে। পেয়ারা খেলে পাকস্থলী ভালো থাকে। হজম শক্তি বাড়ায়। পেয়ারা খেলে গ্যাস হয় না। তবে যাদের পেয়ারা খেলে গ্যাস হয় তাদের না খাওয়াই ভালো।
কলা খাওয়াঃ কলা খেলে হজম প্রক্রিয়া ভালো হয়। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়। অতএব কলা খেলে গ্যাস হয় না।
পাকা পেঁপে খাওয়াঃ পাকা পেঁপেতে পাপায়া নামক এনজাইম আছে যা হজম বৃদ্ধি করে। পাকা পেঁপে খেলে গ্যাস হয় না।
শসা খাওয়াঃ শসা পেট ঠান্ডা রাখে। সাথে আছে ফ্লেভানয়েড ও অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি উপাদান যা পাকস্থলীতে হজম প্রক্রিয়া বাড়ায়। অতএব শসা খেলে গ্যাস হয় না।
গ্যাস্ট্রিক হলে কি কি খাওয়া যাবে না
গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হলে নিচের জিনিস গুলো খাওয়া যাবে না।
পপকর্নঃ পপকর্ন পছন্দ করেন না এমন লোক পাওয়া মুশকিল। কারণ এটা খুব সুস্বাদু খাবার। সারা বিশ্বে পপকনের কদর রয়েছে। পপকর্নের অতিমাত্রায় ফাইবার রয়েছে। যার কারণে পপকর্ন খেলে উচ্চমাত্রায় ফাইবার থাকার কারণে গ্যাস্ট্রিক আরো বেড়ে যেতে পারে।
কাঁচা সবজি খাওয়াঃ অনেকেই ডায়েটের কারণে খাবার তালিকায় কাঁচা সবজি যোগ করেন। কাঁচা সবজিতে সালফার বা গন্ধক থাকে। তাই যাদের গ্যাস্ট্রিক রয়েছে তাদেরকে কাঁচা সবজি খাবার তালিকা থেকে বাদ দিতে হবে।
চুইংগাম খাওয়াঃ চুইংগাম আসলে কোন খাবার নয়। চুইংগাম সাধারণত মুখে নিয়ে রাখা হয়। চুইংগাম খেতে লাগলে তার সঙ্গে কিছু বাতাস ঢুকে যায়। বদহজম তৈরি করে। গ্যাস্ট্রিকের রোগীদের চুইংগাম না খাওয়াই ভালো।
পেঁয়াজ খাওয়াঃ পিয়াজ উচ্চ জটিল শর্করা জাতীয় খাবার। পেঁয়াজ বেশি খেলে হজমে অনেক শক্তি লাগে। এইজন্য যারা গ্যাস্ট্রিকের রোগী পেঁয়াজ কম খাবেন।
আপেল খাওয়াঃ আপেল ফ্রূক্টোজ সমৃদ্ধ ফল। গ্যাস্ট্রিকের রোগী আপেল খাবেন না। আপেল খেলে গ্যাস অথবা পেট ফাঁপা সমস্যা হতে পারে।
লেখক এর মন্তব্য
আজকের কনটেন্ট পেট ফাঁপা দূর করার ঘরোয়া উপায়। বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পেট ফাঁপা অথবা পেটে গ্যাস হওয়া এটা প্রায় আমাদের হয়। তাই এগুলো ব্যাপারে সার্বক্ষণিক জ্ঞান থাকা দরকার। ওষুধ ব্যবহার না করেই আমরা খুব তাড়াতাড়ি পেটের গ্যাস ও পেট ফাঁপা দূর করতে পারি। তাছাড়া নিয়মিত স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া।
যার মাধ্যমেও পেট থেকে গ্যাস নির্মূল করতে পারি। সাধারণত বাজারের ভাজাপোড়া খাবার ও উচ্চ সর্করা খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। তাহলে আমরা গ্যাসবিহীন সুস্থ শরীর নিয়ে বেঁচে থাকতে পারবো। এ বিষয়গুলো জানতে আমাদের এই ওয়েবসাইট ভিজিট করুন।এগুলো ব্যাপারে কোন কিছু জানার থাকলে কমেন্টে জানাবেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url