জেনে নিই বিড়াল খাবার না খেলে করণীয়
প্রিয় পাঠক আজকের বিষয় বিড়াল খাবার না খেলে করণীয়। বিড়াল প্রত্যেক শান্তি প্রিয় প্রাণী। ইহা খুব সহজে পোষ মানে। পোষ মানা বিড়াল সবসময় কাছে থাকে। এমনকি বিছানাতেও শুয়ে থাকে। বিড়াল একটি পবিত্র প্রাণী।
তবে বিড়ালকে কোন সময় মসলাযুক্ত খাবার না দেওয়াই ভালো। এছাড়া বিড়াল কে কাচা মাছ মাংস খেতে দিবেন না। বিড়াল কাচা মাছ মাংস খেলে মাছ-মাংসের ব্যাকটেরিয়া দ্বারা আক্রান্ত হতে পারে। যার কারণে বিড়াল অসুস্থ হয়ে যেতে পারে। বিড়াল মানুষের মতো মাংসের সঙ্গে ভাত খায়। মাংস দিয়ে ভাত চটকিয়ে মেখে দিলে বিড়াল খেয়ে নেয়।
সাধারণত বিড়াল মাছ মাংস শাকসবজি কেক বিস্কুট অথবা পিঠা খেতে পারে। আমরা যারা বিড়াল পালন করি অবশ্যই লক্ষ্য রাখতে হবে বিড়ালকে কাচা মাছ ও মাংস দেওয়া যাবে না। বিড়ালকে দুধ খেতে দিলে দুধ পাতলা ও কুসুম কুসুম গরম দিতে হবে। প্রাপ্তবয়স্ক বিড়াল কে সিদ্ধ মাছ মাংস শাকসবজি দিয়ে ভাত চটকিয়ে খেতে দিবেন।
এইজন্য বিড়াল খাবার বন্ধ করে দিলে পশু ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। অথবা বিড়ালের দাঁতের ব্যথা বা এরকম কোন সমস্যা হলে খাওয়া বন্ধ করলে দুশ্চিন্তা নাই। ব্যথা ভালো হয়ে গেলে খাবে। গবেষণায় দেখা গেছে কিছু বিড়াল অসুস্থতার কারণে খাবার খাওয়া বন্ধ করে।
এ অবস্থায় খাদ্যের কিছু পরিবর্তন করে কয়েকদিন কোন সুস্বাদু খাবার দিতে হবে। এরপরে খাওয়া শুরু করলে আস্তে আস্তে পূর্বের খাবারে ফিরে আসতে হবে। টিন জাত খাবার দিতে লক্ষ্য রাখতে হবে। যেন বেশি টিন জাত খাবার না দেওয়া হয়। বেশি টিন জাত খাবার খেলে শরীরে ভিটামিনের আধিক্য হবে।
জীবনের প্রথমে বিড়ালছানা ৫ থেকে ৬সপ্তাহ মায়ের কাছ থেকেই খাবার পায়। চার সপ্তাহ বয়স থেকে বাচ্চাকে দুধ অথবা নরম খাবার আস্তে আস্তে খাওয়া শুরু করবে। খাবার গুলো প্লেটে ছড়িয়ে দিলে তারা সেগুলো খাবে। এই খাবার গুলো আস্তে আস্তে বৃদ্ধি করতে হবে।
আস্তে আস্তে কিছুদিনের মধ্যেই বোঝা যাবে বিড়াল ছানাগুলো বড় হয়ে গেছে। ভালো খাচ্ছে। বিড়াল ছানাকে দিনে ৫ অথবা ৬ বার করে খেতে দিন। চার মাস বয়স হলে বাজারজাত কিটেন ফুড পাউস প্রতিবার একটি করে খেতে দিন। ১০ থেকে ১২ মাস বয়সে বড় বিড়ালের সঙ্গে খাওয়া শুরু করবে।এ ছাড়া আজকের বিষয় জেনে নিই বিড়াল খাবার না খেলে করণীয়।
বাড়িতে ঘাস রাখুন। ঘাস খাবে। তরল খাবার বা ওষুধ খেতে দিলে মুখের এক পাশ দিয়ে খেতে দিন। মুখের মধ্যে দিলে খেতে পারবে না। নিয়মিত সুষম খাদ্য খাওয়ালে বিড়ালের স্বাস্থ্য ভালো থাকবে। তাই আসুন বাড়িতে পোষা বিড়ালকে যত্ন সহকারে খেতে দি। এ ছাড়া আজকের বিষয় জেনে নিই বিড়াল খাবার না খেলে করণীয়।
বাসায় বিড়াল থাকলে সে খুব আদরে প্রতিপালিত হয়। আজকে আমাদের পোস্ট বিড়াল খাবার না খেলে করণীয় । বাসায় বিড়াল থাকলে মাঝে মাঝে খাবার বন্ধ করে দেয়। তখন অনেকটাই চিন্তায় পড়ে যেতে হয়। আসুন এ সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ণনা করা হয়েছে। আশা করি আমার এই পোস্টগুলো ভাল লাগবে। ভালো লাগলে লাইক কমেন্ট ও শেয়ার করবেন।
বাসায় বিড়াল থাকলে জ্বীনের উপদ্রব কম হয়। এছাড়া বিড়াল ইদুর শিকার করে। যার কারনে বাসায় বিড়াল থাকলে ইঁদুর থাকে না।
ভূমিকা
আজকের বিষয় বিড়াল খাবার না খেলে করণীয় । বাসায় বিড়াল থাকলে খুব আদরের পালিত হয়। ২০২১ সালের তথ্য অনুযায়ী বিশ্বের ২২০ মিলিয়ন মালিকানাধীন বিড়াল ছিল। আর বিপথগামী বিড়াল ছিল ৪৮০ মিলিয়ন।বিড়ালকে আল্লাহর রাসূল (সাঃ)ও সাহাবীগণ ভালবাসতেন। বাসায় বিড়াল থাকলে ইঁদুর ফসলের ক্ষতি করতে পারে না। আসুন আমরা সবাই একটা করে বিড়াল বাসায় রাখি।জেনে নিই বাংলাদেশি বিড়ালের বৈশিষ্ট্য
বিড়াল মাংসাশি স্তন্যপায়ী প্রাণী। বিড়ালকে বাঘের মাসি বলা হয়। বিড়াল চলাফেরা করতে কোন শব্দ করে না। এইজন্য বিড়াল খুব ভালো শিকারি। বিড়ালের পায়ের তলায় মাংস থাকে যার কারণে শব্দ হয় না। বিড়ালের পায়ের নখ গুলো খুব তীক্ষ্ণ শিকার ধরার ক্ষেত্রে এটি ব্যবহার করে। বিড়াল সাধারণত অত্যাধিক সচেতন প্রাণী।আরও পড়ুনঃ কাঠালি কলা খাওয়ার উপকারিতা এর বিবরন
কোন শব্দ বা কোন ইঙ্গিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিড়াল সেটা বুঝতে পারে। বিড়ালের দাত অত্যন্ত তীক্ষ্ণ। যেকোনো শিকারিকে দাত বসিয়ে দিলে শিকারি আর নড়তে পারে না। বিড়াল জীহ্বা দারা নিজের সৌন্দর্যকে রক্ষা করে। এরা নিশাচর প্রাণী। সাধারণত স্বীকার ধরার জন্য রাতে জেগে থাকে। তবে বিড়ালের ঘুম অত্যাধিক বেশি।
দিনে প্রায় প্রায় বিড়াল ১২ থেকে ১৪ ঘন্টা ঘুমায়। সাধারণত দুধ মাছ মাংস জাতীয় খাবার বিড়ালের পছন্দ। শিকারি ধরার জন্য সন্ধ্যা অথবা ভোর সব সময় ব্যস্ত থাকে। প্রাপ্তবয়স্ক বিড়াল সাধারণত ১০ থেকে ১২ পাউন্ড ওজন হয়। বিড়ালের মাথা ছোট সূক্ষ্ম কান এবং লম্বা লেজ ও দেহের আকৃতি বিড়ালকে সুন্দর করেছে।
জেনে নিই বিড়ালের খাদ্যাভাস
বিড়াল পুষতে আমরা খুব ভালোবাসি। বিড়াল খুব আদরের হয়ে থাকে। প্রায় বাড়িতেই বিড়াল থাকে। অনেকে আছেন যে বিড়ালকে সময় দিতে পছন্দ করেন। বিড়ালকে ছোট থেকে আস্তে আস্তে বিভিন্ন খাবারের অভ্যস্ত করতে হবে। বিড়াল ছানা সাধারণত দুধ জাতীয় খাদ্য পছন্দ করে। বয়স্ক বিড়াল মাছ মাংস ডিম এগুলো বেশি পছন্দ করে।
তবে বিড়ালকে কোন সময় মসলাযুক্ত খাবার না দেওয়াই ভালো। এছাড়া বিড়াল কে কাচা মাছ মাংস খেতে দিবেন না। বিড়াল কাচা মাছ মাংস খেলে মাছ-মাংসের ব্যাকটেরিয়া দ্বারা আক্রান্ত হতে পারে। যার কারণে বিড়াল অসুস্থ হয়ে যেতে পারে। বিড়াল মানুষের মতো মাংসের সঙ্গে ভাত খায়। মাংস দিয়ে ভাত চটকিয়ে মেখে দিলে বিড়াল খেয়ে নেয়।
সাধারণত বিড়াল মাছ মাংস শাকসবজি কেক বিস্কুট অথবা পিঠা খেতে পারে। আমরা যারা বিড়াল পালন করি অবশ্যই লক্ষ্য রাখতে হবে বিড়ালকে কাচা মাছ ও মাংস দেওয়া যাবে না। বিড়ালকে দুধ খেতে দিলে দুধ পাতলা ও কুসুম কুসুম গরম দিতে হবে। প্রাপ্তবয়স্ক বিড়াল কে সিদ্ধ মাছ মাংস শাকসবজি দিয়ে ভাত চটকিয়ে খেতে দিবেন।
জেনে নিই বিড়াল খাবার না খেলে করণীয়
আজকের পোস্ট বিড়াল খাবার না খেলে করণীয়। বিড়াল একটি পোষ মানা প্রাণী। প্রায় বাড়িতে একটি করে বিড়াল থাকে। সব সময় দেখা যায় বিড়াল হঠাৎ করে খাবার বন্ধ করে দিয়েছে। বিড়াল খাবার বন্ধ করে দিলে বুঝতে হবে অসুস্থতা কারণে খাবার বন্ধ করেছে।এইজন্য বিড়াল খাবার বন্ধ করে দিলে পশু ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। অথবা বিড়ালের দাঁতের ব্যথা বা এরকম কোন সমস্যা হলে খাওয়া বন্ধ করলে দুশ্চিন্তা নাই। ব্যথা ভালো হয়ে গেলে খাবে। গবেষণায় দেখা গেছে কিছু বিড়াল অসুস্থতার কারণে খাবার খাওয়া বন্ধ করে।
এ অবস্থায় খাদ্যের কিছু পরিবর্তন করে কয়েকদিন কোন সুস্বাদু খাবার দিতে হবে। এরপরে খাওয়া শুরু করলে আস্তে আস্তে পূর্বের খাবারে ফিরে আসতে হবে। টিন জাত খাবার দিতে লক্ষ্য রাখতে হবে। যেন বেশি টিন জাত খাবার না দেওয়া হয়। বেশি টিন জাত খাবার খেলে শরীরে ভিটামিনের আধিক্য হবে।
আরও পড়ুনঃ ৫২ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বক্তব্য
যার কারণে বিড়াল আরও অসুস্থ হয়ে যাবে। বিশেষজ্ঞগণ বলেছেন বিড়াল খাবার বন্ধ করে দিলে আস্তে আস্তে সুস্বাদু খাবার দিয়ে খাবারের চাহিদা বাড়াতে হবে খাবারের চাহিদা বেড়ে গেলে আস্তে আস্তে পূর্বের খাদ্য তালিকায় ফিরে আসতে হবে।
বয়স অনুযায়ী বিড়ালের খাদ্য তালিকা
বাচ্চা বিড়ালের খাবার
বাচ্চা বিড়ালের খাবারের মেনু একটু ভিন্ন। মানব শিশুর চাইতে বিড়াল ছানা ১৬ গুণ বেশি বাড়ে। মাত্র ৯ থেকে১০ মাসে একটা বিড়াল ছানা প্রাপ্তবয়স্কদের মত খেতে পারে। বিড়াল ছানাকে যদি পুষ্টি সম্মত হিসেবে দেখতে চান। তবে বিড়ালছনাকে সুষম খাবার দিবেন।জীবনের প্রথমে বিড়ালছানা ৫ থেকে ৬সপ্তাহ মায়ের কাছ থেকেই খাবার পায়। চার সপ্তাহ বয়স থেকে বাচ্চাকে দুধ অথবা নরম খাবার আস্তে আস্তে খাওয়া শুরু করবে। খাবার গুলো প্লেটে ছড়িয়ে দিলে তারা সেগুলো খাবে। এই খাবার গুলো আস্তে আস্তে বৃদ্ধি করতে হবে।
আস্তে আস্তে কিছুদিনের মধ্যেই বোঝা যাবে বিড়াল ছানাগুলো বড় হয়ে গেছে। ভালো খাচ্ছে। বিড়াল ছানাকে দিনে ৫ অথবা ৬ বার করে খেতে দিন। চার মাস বয়স হলে বাজারজাত কিটেন ফুড পাউস প্রতিবার একটি করে খেতে দিন। ১০ থেকে ১২ মাস বয়সে বড় বিড়ালের সঙ্গে খাওয়া শুরু করবে।এ ছাড়া আজকের বিষয় জেনে নিই বিড়াল খাবার না খেলে করণীয়।
বিড়ালের স্বাস্থ্য ভালো করার উপায়
বিড়াল অত্যধিক পোষ মানা প্রাণী। যার কারণে বিড়ালকে সময় দিন। বিড়ালকে লুকানোর মতো জায়গা দিন। বিড়ালকে নিয়মিত পুষ্টি সম্পন্ন খাবার দিন। বাড়ির বাহির হলে অথবা ছাদে বিড়ালকে নিয়ে যান। তাহলে বিড়ালের ব্যায়াম হবে অত্যধিক মুঠিয়ে যাবে না। বিড়াল কে খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পর্যাপ্ত পানি দিন।আরও পড়ুনঃ মহিষী নারী হযরত খাদিজা (রাঃ)এর সঙ্গে রাসুল (সাঃ)এর বন্ধন
বাসায় বিড়াল থাকলে ইঁদুর অথবা তেলাপোকা মারা বিষ ব্যবহার করবেন না। বিড়ালকে আমিষ ও শর্করা জাতীয় খাবার দিন। চামড়া ছাড়া সিদ্ধমুরগির মাংস, সিদ্ধ কলিজা, ডিম, মাছ ইত্যাদি খেতে দিন। এছাড়াও সিদ্ধ গম অথবা সিদ্ধ ভুট্টা কলা তরমুজ কটেজ অথবা দই খেতে দিতে পারেন।
বাড়িতে ঘাস রাখুন। ঘাস খাবে। তরল খাবার বা ওষুধ খেতে দিলে মুখের এক পাশ দিয়ে খেতে দিন। মুখের মধ্যে দিলে খেতে পারবে না। নিয়মিত সুষম খাদ্য খাওয়ালে বিড়ালের স্বাস্থ্য ভালো থাকবে। তাই আসুন বাড়িতে পোষা বিড়ালকে যত্ন সহকারে খেতে দি। এ ছাড়া আজকের বিষয় জেনে নিই বিড়াল খাবার না খেলে করণীয়।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url