কাচা কলার উপকারিতা ও অপকারিতার বিবরণ
কাচা কলার উপকারিতা ও অপকারিতার বিবরণ বর্ননা করা হলো। কাচা কলা উন্নত মানের সবজি হিসাবে ব্যাবহার করা হয়। ইহা অনেক সুপদেয় খাবার। ইহা অনেক উপকারী সবজী। বিশেষ করে যাদের ডাইরিয়া হয় তাদে কে এ সবজি খেতে বলা হয়। শরীর সুস্থ রাখতে হলে খাদ্য তালিকায় রাখুন কাচা কলা।কাঁচা কলার ফাইবার অনেক সময় পেট ভরা রাখে।কাচা কলা উন্নত মানের সবজি হিসাবে ব্যাবহার করা হয়।ইহা অনেক সুপদেয় খাবার। ইহা অনেক উপকারী সবজী। বিশেষ করে যাদের ডাইরিয়া হয় তাদে কে এ সবজি খেতে বলা হয়। শরীর সুস্থ রাখতে হলে খাদ্য তালিকায় রাখুন কাচা কলা। কাঁচা কলার ফাইবার অনেক সময় পেট ভরিয়ে রাখে।
ভুমিকা
এটি আঁশযুক্ত হওয়ায় তা মেদ কমাতেও সাহায্য করে।রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রনে কাঁচকলা অনেক উপকারী। ভিটামিন বি৬ গ্লূকোজ নিয়ন্ত্রণ করে টাইপ-টু ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করে।আপনারা কাঁচকলা প্রত্যহ খাবেন হাজার টাকার ওষধ খাওয়া বাচবেন। কাচা কলার উপকারিতা ও অপকারিতার বিবরণ বিষয়টি আলোচনা করা হলো ।
আনাজি কলা
কাঁচা কলার অন্যতম জাত হলো আনাজি কলা ।গাছের আকার বড়। তবে মজবুত নয়, বিধায় কাঁদি আসার পর গাছে খুঁটি ব্যবহার করা হয়। সারা বছর পাওয়া যায়। সাধারনতঃ দো-আষ মাটিতে এ কলা চাষ ভালো হয় ।চারা লাগানোর পর ৩৩০দিন থেকে৩৪০ দিনের মধ্যে খাওয়ার উপযোগী হয় ।বিশেষ করে এ কলা আষাড়-শ্রাবন মাসে খেতে খুব মজা লাগে ।
কাচা কলার পুষ্টি উপাদান
কাচা কলার উপকারিতা ও অপকারিতার বিবরণ বর্ননা করা হলো। কাচা কলায় আছে ভিটামিন-এ, ভিটামিন-বি৬ ও ভিটামিন-সি, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও ফসফেট। কাঁচাকলা বিভিন্ন ধরনের ক্যানসার প্রতিরোধে সহায়ক।
কাঁচকলায় ক্যালসিয়াম হাড় মজবুত করতে সহায়ক। কাঁচকলায় প্রচুর অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে আছে । কাঁচা কলায় অতিমাত্রায় শ্বেতসার, 'শর্ট-চেইন' ফ্যাটি অ্যাসিড এবং খনিজ উপাদান আছে।কাঁচা কলায় এনজাইম,আছে যা ডায়রিয়া এবং পেটের নানা ইনফেকশন দূর করে
কাচা কলা খাওয়ার নিয়ম
কাচা কলা প্রধানতঃ সব্জি হিসেবে খাওয়া হয় । কাচা কলা সিদ্দ করে লবন দিয়ে খেতেপারলে ভিটামিন-এ, ভিটামিন-বি৬ ভিটামিন-সি ও পটাসিয়ামের অভাব পুরন হয় ।সকালে কাচা কলার সবজি খেলে সারাদিন উপকার পাওয়া যায় । ইলিশ মাছ, কাচা কলা দিয়ে খেতে খুব ভালো লাগে । ইহা ছানা হিসেবে খেতে খুব মজা ।
একটি কাচা কলা খোসা সহ টুকরো টুকরো করে কেটে সন্ধায় পানিতে ভিজিয়ে রেখে পরদিন সকালে ওই পানি খেলে আমাশয় রোগ নিরাময় হয়। এভাবে এক মাস খেতে হবে। এ ছাড়া পেটের পিড়ায় কাচা কলা সিদ্ধ করে টক দইয়ের সাথে মিশিয়ে খেলে রোগ সারে। কাচা কলা শুকিয়ে গুঁড়া করে প্রতিদিন সামান্য পরিমাণ দুধের সাথে মিশিয়ে খেলে যৌনব্যাধি ও প্রস্রাবের সমস্যা দুর হয়। কাচা কলার উপকারিতা ও অপকারিতার বিবরণ বর্ননা করা হলো।
কাচা কলার উপকারিতা
কাচা কলার ফাইবার পেট ভরিয়ে রাখেএবং আঁশযুক্ত হওয়ায় তা মেদ কাটতে সাহায্য করে। কাচা কলায় প্রচুর পরিমাণ পটাশিয়াম থাকে । এক কাপ কাচা কলায় ৫৩১ মিলিগ্রাম পটাসিয়াম আছে। প্রতিদিন ৪৭০০ মিলিগ্রাম পটাসিয়াম গ্রহণে হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।যা কাচা কলা অনেক সহযোগিতা করে ।
আঁশযুক্ত সবজি হওয়ায় এটি খুব সহজে হজম হয়। কাচা কলা পেটের ভিতরে খারাপ ব্যাকটেরিয়া ধংস করে ।ইহা কোলন থেকে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া, জীবাণু এবং ইনফেকশন দূর করে কোলন সুস্থ রাখে। এতে হজম, হৃৎপিণ্ড সংক্রান্ত যাবতীয় সমস্যায় উপশম করে এবং উপরোক্ত সকল সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
কাচা কলার খোসার উপকারিতা
চামড়ার জুতোর দাগ কাচা কলার খোসা ঘসলে উঠে যায় ।সার কারখানায় কলার খোসায় থাকা পটাশিয়াম ও সোডিয়াম বায়োডিগ্রেডেবল এজেন্ট হিসাবে কাজ করে।দাঁতের হলুদ ছোপ পড়লে কলার খোসা দিয়ে ঘসলে উজ্জলতা বৃদ্ধি পায় ।এই খোসা ফেলে না দিয়ে কুচিয়ে ভাপিয়ে নিন। সঙ্গে কালো জিরে, গোলমরিচ গুঁড়ো, পেঁয়াজ, রসুন ও তেল দিয়ে রান্না করে চমৎকার ভর্তা করুন।
এর সঙ্গে চিংড়িও দিতে পারেন। তাহলে বেড়ে যাবে রান্নার স্বাদ।কলার খোসা বেটে তার সঙ্গে সামান্য মধু মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে নিন। মুখের কালো দাগ ও বলিরেখা দূর হবে। শুষ্ক ত্বকে কলার খোসার ভিতরের অংশ লাগান। কিছু ক্ষণ পর মুখ ধুয়ে ফেলুন। ত্বক মোলায়েম হবে, ত্বকের উজ্জলতাও বাড়বে ।
কাচা কলার অপকারিতা
কাচা কলা অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া ক্ষতি করতে পারে, যেমন: কাঁচকলায় ফাইবারের পরিমাণ 2.6 গ্রাম যদি কাঁচা কলা বেশি খাওয়া হয় তাহলে পরিপাকতন্ত্র ফাইবার হজম করতে পারেনা। এটি গ্যাস, ফোলাভাব এবং পেটে ক্র্যাম্পের মতো সমস্যা তৈরী করতে পারে।কাঁচকলা রক্তে চিনির পরিমাণ কমাতে পারে।
আরও পড়ুনঃ লজ্জাবতী গাছের শিকড়ের উপকারিতা এর বিবরণ
তাই যাদের শর্করার সমস্যা কম, তারা যেকোনো ধরনের ক্ষতিকর প্রভাব এড়াতে এটি খাওয়ার জন্য অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন।যাদের অ্যালার্জি আছে তাদের এটি বেশীখাওয়া উচিৎ নয়। অতিরিক্ত পেট ফোলার সমস্যা থাকলে কাচা কলা না খাওয়াই ভালো। কোষ্ঠ্যকাঠিন্যের সমস্যাও কিছু সময়ে বাড়িয়ে দেয়।
লেখকের মন্তব্য
এই পোস্টে কাচা কলার উপকারিতা ও অপকারিতার বিবরণ জেনেছেন যে কীভাবে কাচা কলা খেলে উপকার পাওয়া যায়। অবশ্যই, এটি অনেক রোগ থেকে রক্ষা করতে পারে কিন্তু কোন রোগের নিরাময়ক হতে পারে না। এছাড়াও, কাঁচা কলা খাওয়া তখনই উপকারী যখন এটি সুষম ভাবে খাওয়া হয় ।
তাহলে আর দেরি কেন, আপনিও যদি কাচা কলার উপকারিতা চান, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শে শীঘ্রই এটিকে আপনার ডায়েটে সংযুক্ত করুন। আশা করি আপনার কাঁচা কলা সম্পর্কে তথ্য সহ এই পোষ্টটি ভালো লেগেছে । ভালো লাগলে লাইক,কমেন্ট ও শেয়ার করবেন ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url